
Demonetisation: নোটবন্দির মামলায় রায়দান স্থগিত, মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টে নথি জমা দেবে কেন্দ্র
৬ বছর আগে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়েছিল, তাতে রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সরকারের ঘোষণায় রাতারাতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার সব নোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সেই ঘোষণা করেছিলেন। ওই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিল বিরোধী দলগুলি।
পরে নোট বাতিল নিয়ে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি।

অন্তত ৫৮ খানা আবেদন জমা পড়েছিল
অন্তত ৫৮ খানা আবেদন জমা পড়েছিল। মামলা শোনার জন্য তৈরি হয়েছিল বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্য ও বিচারপতি বিভি নাগারত্নের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে আদালত নির্দেশ দিয়েছে যাতে সংশ্লিষ্ট সব রেকর্ড আদালতে পেশ করা হয়। সেই সব নথি মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি।

সরকার ও আরবিআই-কে নথি পেশ করার নির্দেশ
এদিন শুনানিতে আদালতের পর্ষবেক্ষণে বলা হয়েছে, এটা দেশের অর্থনৈতিক বিষয় বলে বেঞ্চ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। কী ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা দেখা হবে। ঘোষণার পর ৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে, তাই সেই সিদ্ধান্ত আর প্রত্যাহার করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে মামলার গুরুত্ব বুঝে শুনতে রাজি হয় শীর্ষ আদালত। নোট বাতিলের বিপক্ষে সওয়াল করেছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী পি চিদম্বরম। পরে কেন্দ্রীয় সরকার ও আরবিআই-কে নথি পেশ করার নির্দেশ দেয় আদালত।

রায়দান স্থগিত রাখল আদালত।
পি চিদম্বরম দাবি করেছেন, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহাক করা না হলেও অন্তত এমন আইন আনা হোক যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও সরকার এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেয়। আবেদন করেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ, আইনজীবী শ্যাম দিভানও। অন্যদিকে, আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল সওয়াল করেন, নকল নোট ও কালো টাকার রমরমা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। আরবিআই জানিয়েছে, তাদের সুপারিশেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সব পক্ষের কথা শোনার পর আপাতত রায়দান স্থগিত রাখল আদালত।

৬ বছর কেটে গেলেও একাধিক প্রশ্ন!
উল্লেখ্য, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর চালু হয় ২০০০ টাকার নোট। কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নতুন নোট তৈরি করে বাজারে আনা হয়েছিল। সন্ত্রাসে অর্থ জোগান বন্ধ হবে বলেও দাবি করেছিল সরকার। ৬ বছর কেটে গেলেও বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা মোদী সরকারের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আজও প্রশ্ন তুলে থাকেন। এমনকি বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে গত কয়েক মাসে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাঝে মধ্যেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের নোট বাতিল আদৌও কি সফল? তা নিয়ে বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি নোট বাতিল মোদী সরকারের একটা অস্বস্তি! তা বিজেপির অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে বহুবার।
MCD Election Result: দিল্লি পুরভোটে বিপুল জয় আপের, গুজরাতে কতটা এগিয়ে রাখল কেজরিওয়ালের দলকে