
নোটবন্দি ইস্যুতে শুনানির অর্থ ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে হাঁটা, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র
২০১৬ সালে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ঘড়ির কাঁটার পিছনে যাওয়া সম্ভব হয় না। অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানির কাছে শীর্ষ আদালত জানতে চায়, নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র আদৌ আরবিআইয়ের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেছিল কি না। ২০১৬ সালের নভেম্বরে পুরনো ৫০০ টাকা ও হাজার টাকার নোট বাতিল করে কেন্দ্র।

সংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ
৫৮টি আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁত বিচারপতির সংবিধানিক বেঞ্চে এই শুনানি হয়। বিচারপতি বিআর গাভাই, এএস বোপান্নার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চটি জানায়, 'কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, নোটবন্দি যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল তা সফল হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের উচিৎ যে ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে নোটবন্দির কারণে, যে অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে নোট বন্দির বিরুদ্ধে, সেই অভিযোগের উত্তর কেন্দ্রের তরফে দেওয়া উচিত।' সঠিক পদ্ধতি নোটবন্দির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল কি না, তা কেন্দ্রকে দেখানোর জন্য নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের সংবাধিক বেঞ্চ।

ঘড়ির কাঁটার পিছনে হাঁটা
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানিক বেঞ্চে ভেঙ্কটরামানি নোটবন্দিকরণ নীতির পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে এই বিষয়ে দূরে থাকার আবেদন করেন। নোটবন্দির পরিস্থিতি ভারতে বর্তমানে নেই। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা করা অপ্রাসঙ্গিক। এখন সময়ের পিছিয়ে গিয়ে নোটবন্দির জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের কোনও ত্রাণ দেওয়া কখনই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত কোনও বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত নয়। এটি একটি জটিল অর্থনীতির অংশ ছিল। নোটবন্দির জেরে দেশ থেকে কালো টাকা সরানো সম্ভব হয়েছে। জাল নোটের পরিমাণ আগের থেকে অনেকটা কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, অনেকেই অভিযোগ করছেন, নোটবন্দির উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আদতে তাঁরা ভুয়ো অভিযোগ করছেন।

নোটবন্দির বিপরীতে হাঁটা
সংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি নাগরাথানা জানিয়েছেন, কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরবিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিল কি না, এই বিষয়ে সঠিক কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। সুপ্রিম কোর্টে প্রবীণ আইনজীবী শ্যাম দিভান জানান, এক ব্যক্তি ২০১৬ সালের এপ্রিলে বিদেশে চলে যান। সেই সময় তিনি ১.৬৩ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি সেই টাকার বিনিময়ে নতুন নোট তুলতে চান। কিন্তু তিনি পারেননি। কারণ, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সালের পরে পুরনো নোট বিনিয়ম করা শেষ দিন ছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তির কেন্দ্রের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরনো নোটের বদলে নতুন নোট নেওয়া সম্ভব ছিল না।
সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে! ইতিহাস গড়ে এমনই একগুচ্ছ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাল ISRO