নোটবন্দিতে সুপ্রিম স্বস্তি মোদী সরকারের, কী জানাল শীর্ষ আদালত
নোটবন্দিতে সুপ্রিম স্বস্তি মোদী সরকারের, কী জানাল শীর্ষ আদালত
নোটবন্দিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে বিরোধীদের কটাক্ষের সামনে পড়তে হয়েছে সরকারকে। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের ব্যর্থ পদক্ষেপ হিসেবেও বারবার নোটবন্দীকে তুলে ধরেছেন বিরোধীরা।
খারিজ হয়ে গেল বিভিন্ন পিটিশন:
এই নোটবন্দীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিগত বছরগুলিতে দাখিল হয়েছিল একাধিক পিটিশন, যেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সরকারের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা নিয়ে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে এর নেপথ্যের কারণ বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তা ধোপে টেকেনি। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা একাধিক পিটিশনের সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিল কেন্দ্রের পক্ষেই এবং বিভিন্ন আবেদন খারিজ করে দেয়।
নোটবন্দির যৌক্তিকতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন:
বেশির ভাগ পিটিশনেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয় হঠাৎ করে নেওয়া নোটবন্দীর সিদ্ধান্তের বৈধতাকে যার ফলে বাজারে থাকা ৮৬ শতাংশ টাকা স্রেফ কাগজের টুকরো-তে পরিণত হয়েছিল। এ ছাড়াও কিছু পিটিশন এমন ছিল যেখানে আবেদন করা হয়েছিল পুরনো নোট পরিবর্তন করার জন্য নতুন উইন্ডোর কারণ সেই সময় যে ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে অনেকেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতে পারেননি। পাঁচ বিচারপতি এস আবদুল নাজির, বিআর গাভাই, এস বোপান্না, ভি রামাসুব্রমানিয়ান এবং বিভি নগরত্নের বেঞ্চ দুইটি পৃথক রায় দিয়েছেন।
২০১৬ সালে আকস্মিক নোটবন্দি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী:
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেওয়া নোটবন্দী সিদ্ধান্ত সারা দেশে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি করে। কী ভাবে নতুন নোট পাবেন, পুরনো নোট কী ভাবে জমা দেবেন এই বিষয়টা বুঝতেই অনেক সমস্যা পোহাতে হয় গ্রামাঞ্চলের মানুষদের। বহু মানুষ দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ব্যঙ্ক কর্মচারীদের নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও সরকারের তরফ থেকে নিজেদের সিদ্ধান্তের সমর্থনে জানানো হয় ডিজিটাল ইকোনমির একটি পদক্ষেপ এটি এবং সব থেকে বেশি করে যেই বিষয়টা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছিল তা হল কালো টাকা উদ্ধার এবং উগ্রপন্থীদের কোমড় ভেঙে দেওয়ার জন্য এই বিশাল পদক্ষেপ।
নোটবন্দির প্রভার:
তবে, বড় সংখ্যক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতির উন্নতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সাধারণ মানুষকে নাকাল করে এই সিদ্ধান্ত এবং ছোট ছোট ব্যবসাগুলির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে নোটবন্দী। পুরো নোট বাতিল করার সরকারের সিদ্ধান্তকে জারি রেখে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নোটবন্দীর প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হয়নি এই রমক যুক্তি থাকা স্বত্ত্বেও এই বিজ্ঞপ্তিকে বাতিল করা যাবে না। ভারতের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষ এই কঠিন পরিস্থিত কাটিয়ে এসেছে এবং এই ধাক্কা সামলে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। নভেম্বর- ডিসেম্বরে শুনানির সময়ে ইঙ্গিপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সামনে রেখেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ঘরির কাঁটাকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে তাই নোটবন্দী বাতিল করা যাবে না, তবে ভবিষ্যতের জন্য এই ধরনের আগুমেন্ট শিক্ষণীয় হয়ে থাকতে পারে।