Supreme Court on Note Ban: মোদীর সিদ্ধান্ত আইনসম্মত! নোট বন্দি নিয়ে এক ঝটকায় ৫৮ আবেদন বাতিল সুপ্রিম কোর্টে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬-র ৮ নভেম্বর রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নোটবাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বাজারে চালু থাকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা বলেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই স
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬-র ৮ নভেম্বর রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নোটবাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বাজারে চালু থাকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা বলেছিলেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ৫৮ টি আবেদন করা হয়েছিল। এদিন দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া রায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখে ৫৮ টি আবেদনই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
আইনি কিংবা সাংবিধানিক ত্রুটি নেই
এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, নোটবন্দির সিদ্ধান্তে কোনও আইনি বা সাংবিধানিক ত্রুটি ছিল না। সেখানে বলা হয়েছে, নোটবন্দির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত মূল সমস্যাগুলির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে করা আবেদনগুলি প্রধান বিচারপতির দ্বারা গঠিত উপযুক্ত বেঞ্চের সামনে রাখা যেতে পারে।
ছ-মাস ধরে কেন্দ্র ও আরবিআই-এর মধ্যে আলোচনা
বিচারপতি
গাভাই
বলেছেন,
নোট
বাতিলের
আগে
কেন্দ্র
ও
আরবিআইএ-র
মধ্যে
বিষয়টি
নিয়ে
ছয়মাস
ধরে
আলোচনা
হয়েছিল।
তিনি
আরও
বলেছেন,
সুপ্রিম
কোর্ট
মনে
করে
এই
ধরনের
একটি
ব্যবস্থার
জন্য
একটি
যুক্তি
সঙ্গত
সম্পর্ক
ছিল।
বিচারপতি
এসএ
নাজিরের
নেতৃত্বে
পাঁচ
সদস্যের
ডিভিশন
বেঞ্চে
এই
মামলার
শুনানি
হয়।
বিচারপতি
এসএ
নাজির
৪
জানুয়ারি
অবসর
নেবেন।
বিচারপতি
গাভাই
এবং
বিচারপতি
নাজির
ছাড়া
আরও
যে
তিনজন
বিচারপতি
এই
ডিভিশন
বেঞ্চে
ছিলেন,
তাঁরা
হলেন,
বিচারপতি
নাগারথনা,
বিচারপতি
এএস
বোপান্না
এবং
বিচারপতি
ভি
রামাসুব্রমানিয়ান।
শুনানি আগেই শেষ হয়েছিল
নোট
বাতিল
নিয়ে
সুপ্রিম
কোর্টের
শুনানিতে
অংশ
নিয়েছিলেন,
আরবিআই-এর
আইনজীবী
হিসেবে
আর
ভেঙ্কটরামানি।
সিদ্ধান্তের
বিরোধিতায়
আবেদনকারীদের
তরফে
ছিলেন
পি
চিদাম্বরম
এবং
শ্যাম
দিভান।
সুপ্রিম
কোর্টে
গত
৭
ডিসেম্বর
শুনানি
শেষ
হওয়ার
পরে
সরকারের
২০১৬
সালের
সিদ্ধান্ত
সম্পর্কিত
প্রাসঙ্গিক
রেকর্ড
সংরক্ষণের
নির্দেশ
দেওয়ার
পাশাপাশি,
রায়ও
সংরক্ষিত
রাখা
হয়েছিল।
৫০০
ও
হাজার
টাকার
নোট
বাতিলে
সরকারের
সিদ্ধান্তকে
ত্রুটিপূর্ণ
বলে
অভিহিত
করে
আইনজীবী
পি
চিদাম্বরম
বলেছিলেন,
কেন্দ্রীয়
সরকার
এব্যাপারের
কোনও
প্রস্তাব
দিতে
পারে
না।
যা
করা
যেতে
পারে
শুধুমাত্র
আরবিআই-এর
কেন্দ্রীয়
বোর্ডের
সুপারিশে।
আরবিআই ও কেন্দ্রের অবস্থান
আরবিআই-এর তরফে আগে বিষয়টি নিয়ে অস্থায়ী অসুবিধার কথা তোলা হলেও, সঙ্গে বলা হয়েছিল জাতি-গঠনের প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল সেটি। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, উদ্ভুত সমস্যার সমাধানও করা হয়েছিল। অন্যদিকে নোট বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হয়েছিল বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জাল টাকা, সন্ত্রাসে অর্থের জোগান বন্ধ করা, কালো টাকা এবং কর ফাঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৃহত্তর কৌশনের অংশ হিসেবে নোটবাতিল করা হয়েছিল।
Supreme Court on Note Ban: নোট বাতিল বৈধ! সুপ্রিম কোর্টের বড় রায়ে স্বস্তিতে কেন্দ্র