গোরক্ষনাথ মন্দিরে অস্ত্র নিয়ে হামলা, আহত দুই পুলিশ কর্মী, জঙ্গি যোগ কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
গোরক্ষনাথ মন্দিরে অস্ত্র নিয়ে হামলা, আহত দুই পুলিশ কর্মী, জঙ্গি যোগ কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
রবিবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরে এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে জোর করে প্রবেশ করে এবং এই ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ আধিকারিকদের কথা অনুযায়ী, আততায়ী 'আল্লা হু আকবর’ বলে চিৎকার করতে করতে পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা করে এবং এক পুলিশকর্মীর এসএলআর রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে। ওঅ ব্যক্তিকে থামানো যাচ্ছিল না, তাকে তৎক্ষণাত গ্রেফতার করা হয় এবং সেও হামলায় আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অতিরিক্ত
ডিরেক্টর
জেনারেল
(এডিজি)
গোরক্ষপুর
জোনের
অখিল
কুমার
বলেন,
'আমাদের
প্রাদেশিক
সশস্ত্র
কনস্টেবল
(প্যাক)–এর
দুই
কর্মী
আহত
হয়েছেন।
রবিবার
সন্ধ্যায়
আততায়ী
ধারালো
অস্ত্র
নিয়ে
জোর
করে
মন্দিরে
ঢোকার
চেষ্টা
করে।
সে
মন্দির
সংলগ্ন
গেটে
প্যাক
পোস্টে
যায়
এবং
পুলিশের
ওপর
হামলা
চালায়।’
উভয়
পুলিশ
কর্মী
সহ
আততায়ীর
চিকিৎসা
চলছে
হাসপাতালে।
জানা
গিয়েছে,
গোপাল
কুমার
গৌর
ও
অনিল
পাসওয়ান
নামে
দুই
কনস্টেবল
আহত
হয়েছেন
এই
ঘটনায়।
তাঁদের
চিকিৎসা
চলছে
বিআরডি
মেডিক্যাল
হাসপাতালে।
জেলা
হাসপাতালে
চিকিৎসা
চলছে
অভিযুক্তের।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং গোরক্ষপুরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আহমেদ মুর্তাজাকে জেরাও করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত মুম্বইয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া। ধারালো অস্ত্র ছাড়াও তার কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্যান কার্ড ও বিমানের টিকিট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন যে এই হামলার পেছনে তার লক্ষ্য কি ছিল এবং মন্দির চত্ত্বরে ঢুকতে তাকে দ্বিতীয় কেউ সহায়তা করেছিল কিনা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই এই মন্দির পরিদর্শনে আসেন তাই এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন এডিজি। গোরক্ষনাথ মন্দিরকে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে কারণ মুখ্যমন্ত্রী যখন গোরক্ষপুরে থাকেন তখন মন্দিরেই থাকেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক সঙ্কট, সরকার গড়তে সমস্ত দলকে আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গোরক্ষনাথ মন্দির ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বর্তমানে স্থানীয় পুলিশ এবং এটিএস একত্রিত হয়ে হুমকি এবং এই হামলার লিঙ্ক যোগ করতে শুরু করেছে। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি তিন তিনটি টুইট করে বেশ কয়েকটি বড় রেলস্টেশন, গোরক্ষনাথ মন্দির এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ওপর বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। লেডি ডন নামের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই টুইটটি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তও শুরু করলেও আসামি অধরাই ছিল। এরপর রবিবার গভীর রাতে হামলার পর তৎপর হয় পুলিশ।