বাড়ছে অনলাইন জালিয়াতির পরিমাণ, সাইবার অপরাধীদের নতুন অস্ত্র QR কোড! চিন্তায় এসবিআই
বাড়ছে অনলাইন জালিয়াতির পরিমাণ, সাইবার অপরাধীদের নতুন অস্ত্র QR কোড! চিন্তায় এসবিআই
বর্তমানে ইউপিআই লেনদেন হোক বা অন্যান্য যে কোনও প্রকারের ব্যাঙ্কিং, প্রতিক্ষেত্রেই কিউআর(QR) কোডের ব্যাবহার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে এখানেই ঘনাচ্ছে নতুন বিপদ। বাড়ছে জালিয়াতদের দৌরাত্ম। এবার এই বিষয়েই সতর্ক করল এসবিআই(SBI)। এদিকে গত কয়েক বছরে গোটা দেশেই অনলাইন পেমেন্টের পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে। আর সেখানেই নতুন নতুন জালিয়াতির ফাঁদ পাতছে প্রতারকেরা।
চিন্তায় এসবিআই
সম্প্রতি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) তার গ্রাহকদের কিউআর স্ক্যান নিয়ে বারেবারে সতর্ক করছে। এদিকে করোনা মহামারীর সময় অনলাইনে পেমেন্ট করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এদিকে প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে, কিন্তু উল্টোদিকে আবার সাইবার অপরাধীদের জন্য প্রতারণা করা সহজ হয়ে গেছে। আর সেখানেই হাতিয়ার করা হচ্ছে QR কোডগুলিকে।
বাড়ছে অনলাইন জালিয়াতির পরিমাণ
সহজ কথায় মানুষ যত বেশি পরিমাণে অনলাইন লেনদেন করছে ততই বাড়ছে অনলাইন জালিয়াতির পরিমাণও। এই প্রসঙ্গেই নতুন সাবধানবাণী শুনিয়ে এসবিআই নতুন টুইট করেছে। ওই টুইট বার্তাতেই এসবিআই-র তরফে বলা হয়েছে, 'যখন আপনি একটি QR কোড স্ক্যান করেন, তখন আপনি টাকা পান না। মূলত পাঠানোর কাজেই এটা ব্যবহার হয়। তবে জালিতায়দের থেকে সাবধান। এটি ব্যবহার করলে আপনি কেবল একটি মেসেজ পান যে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে 'XX' পরিমাণের টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।"
কী বলছে এসবিআই
এসবিআই-র টুইটে আরও বলা হয়েছে, "আপনি যদি টাকা দিতে না চান, তাহলে কারো দ্বারা শেয়ার করা QR কোডটি স্ক্যান করবেন না। সবসময় সতর্ক থাকুন।" এই প্রসঙ্গে এসবিআই একটি আড়াই মিনিটের ভিডিও শেয়ার করেছ তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। ওই ভিডিওতেই ব্যাখা করা হয়েছে কিভাবে QR কোড স্ক্যান করে বিপদের মুখে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ। কিভাবেই বা এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
কিউআর কোড জালিয়াতি কিভাবে হয়?
মূলত অনলাইন কেনাকাটার সাইটে ঢুকেই সবথেকে বেশি বিপদে পড়ে সাধারণ মানুষ। ওই সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই মূলত ওত পেতে বসে থাকে জালিয়াতেরা। ওই সমস্ত প্রতারকেদের কাছে একজন ক্রেতা যখনই আসেম তখনই পণ্যের আসল মূল্য দিতে QR কোড শেয়ার করে। নিজেদের কিউআর কোডটি উপভোক্তার হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেলে পাঠানো হয়। এরপরেই উপভোক্তাকে কিউআর কোড স্ক্যান করতে বলে থাকে। ওই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই বিপদ। তখনই নিজেদের ইচ্ছামতো টাকার পরিমাণ বসিয়ে নেয় প্রতারকেরা।