হোয়াটস অ্যাপ কাজ করছে না ভারতে, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার আশ্বাস মেটার
হোয়াটস অ্যাপ কাজ করছে না ভারতে, ৩০ মিনিটেরও বেশি স্তব্ধ পরিষেবা
ভারতে হঠাৎ করেই ডাউন হয়ে গেল হোয়াটস অ্যাপ। মঙ্গলবার প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কাজ করছে না হোয়াটস অ্যাপ। মেটা-মালিকানাধীন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্লাটফর্ম মোবাইল অ্যাপ থেকে শুরু করে ডেস্কটপ, এমকী ওয়েব প্লাটফর্মেও কাজ করছে না হোয়াটস অ্যাপ। ডাউন ডিটেক্টরে দেখানো হয়েছে, তিন হাজারেরও বেশি হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারী রিপোর্ট করেছেন।
হঠাৎ কেন হোয়াটঅ্যাপ পরিষেবা বিঘ্নিত হল, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা। সেই সমস্যা তড়িঘড়ি মেটানোর চেষ্টা করছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এদিন প্রায় ১২টায় বিঘ্ন ঘটতে শুরু করেছে হোয়াটস অ্যাপে। সেই সময় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। এবারই প্রথ্ম নয়, এর আগেও হোয়াটস অ্যাপে বিঘ্নি ঘটেছে। কিন্তু বারবার কেন এই সমস্যা হচ্ছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। বিশেষজ্ঞরা নানা মত জাহির করেছেন।
শুধু ভারত নয়, অন্যান্য দেশেও এই পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। হোয়াটস অ্যাপ মেসেজিং পরিষেবা কাজ করেনি ইতালি ও তুরস্কেও। বেশ কিছু হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারী এই রিপোর্ট করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসঙ্গে সমস্ত সার্ভার বসছে বলেই পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কোটি কোটি গ্রাহক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।
তবে শুধু পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে তা নয়, ডেটা সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠে পডেছে। সাইবার হামলার শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর ফলে হোয়াটস অ্যাপে ডেটা সুরক্ষিত থাকবে না। এদিকে কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি কী কারণে এই বিঘ্ন ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের অসুবিধা আমরা বুঝতে পারছি। যত দ্রুত সম্ভব তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, আমাদের দেশে কোনও প্রাইভেসি রেগুলেশন অ্যাক্ট নেই। সেক্ষেত্রে বড়সড় সাইবার হানা হলে আমাদের ডেটা সুরক্ষিত থাকবে না। অবিলম্বে প্রাইভেসি রেগুলেশন অ্যাক্ট আনা দরকার সরকারের। কোনও মেসেজ আসছে না, কোনও মেসেজ রিসিভও করা যাচ্ছে না, তার থেকেও বড় প্রশ্ন ডেটা সুরক্ষার।
হোয়াটস অ্যাপ ভারতের সবথেকে বেশি মানুষ ব্যবহার করে। তারণ এটি সুরক্ষিত এবং প্রাইভেসি মেন্টেন করে। প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ কোটি মানুষ এই মাধ্যম ব্যবহার করে। মেটা আমাদের ভারতেরই সবথেকে বেশি ব্যবসা করছে। কিন্তু আমাদের কোনও ডেটা প্রাইভেসি নেই। পৃথিবীর সমস্ত দেশ প্রাইভেসি অ্যাক্ট নিয়ে এসেছে, কিন্তু ভারত তা আনতে পারেনি। কিন্তু এখন যদি ডেটা অন্যকারও হাতে চলে যায়, সেই সুরক্ষার ভার কে নেবে, প্রশ্ন উঠছে।