নেতাজি -র জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাবনত ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার, নেতাজি-র জীবনের কিছু অধ্যায় ফিরে দেখা
গোটা দেশ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। পিছিয়ে নেই ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলাও। তাঁরাও এই বিশেষ দিনে মনে করছে এই মহান মানুষকে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য পদানত করে রেখেছিল ভারতকে। নিজভূমে পরবাসী হয়েছিল ভারতবাসীরা। নিজেদের যেটা ইচ্ছা তা করার অধিকার হারিয়েছিল তাঁরা। ব্রিটিশ শাসনে জীবনযাপনই হয়ে উঠেছিল দুর্বিসহ। এই অবস্থায় দেশবাসীর মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনের ইচ্ছা বাড়িয়ে তুলেছিলেন বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী। তার মধ্যে নেতাজি অন্যতম। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অল ইন্ডিয়া ফরোয়ার্ড ব্লক। এবং দেশের কিছু অংশে স্বাধীনতা এনে প্রভিশানাল সরকার তৈরির মতো দৃপ্ত পদক্ষেপও দেখিয়েছিলেন তিনি। তিনি সকলের প্রণম্য নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।
[আরও পড়ুন:নেতাজি -র জন্মদিনে শ্রদ্ধাবনত গোটা দেশ, টুইটে শ্রদ্ধা মোদী থেকে মমতার]
মঙ্গলবার নেতাজির ১২১ তম জন্মজয়ন্তী -র দিন তাঁর সম্পর্কে বহু চর্চিত কিছু তথ্য আরও একবার ফিরে দেখা। আসলে এইভাবে মহান সেই মানুষের জীবনের লড়াই আরও একবার ফিরে দেখা।
শুরুর দিন
জন্ম থেকেই নেতাজির মধ্যে দেশাত্মবোধ রক্তের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হত। ছোট বেলাতেই নিজের দেশাত্মবোধ ফুটিয়ে তুলেছিলেন, তার সঙ্গে প্রতিবাদও করতেন অনায্য ক্ষেত্রে। দেশ বিরোধী মন্তব্য করার জন্য প্রেসিডেন্সিতে অধ্যাপককে চড়ও মেরেছিলেন তিনি।
মেধা-র দৃপ্ত প্রকাশ
ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় দারুণ ফল করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। নিজের এই দারুণ ফলাফলের কৃতিত্ব নিজের বাবাকে দিয়েছিলেন তিনি। ৪ র্থ হয়েছিলেন তিনি।
জাতীয় কংগ্রেসে উত্থান
জাতীয় কংগ্রেসে প্রাথমিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। সেখানে কংগ্রেসের জাতীয় প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ সালে জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তবে গান্ধীজির সঙ্গে মতপার্থক্য প্রকট হয়।
জাপান থেকে জার্মানি
জাপান থেকে জার্মানি সকল ব্রিটিশ বিরোধী শক্তির সঙ্গে দারুণ ভাবে যোগাযোগ ছিল তাঁর। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর মুভমেন্টে সাহায্য নিয়েছিলেন এই দেশগুলির থেকে।
মহাত্মা-র দেওয়া উপাধি
নেতাজিকে 'প্যাট্রিয়ট অফ প্যাট্রিয়ট' অর্থাৎ দেশপ্রেমীদের মধ্যে সেরা দেশপ্রেমী হিসেবে অভিহিত করেছিলেন গান্ধীজি।
নেতাজির অন্তর্ধান
নেতাজি তাইহুকু বিমান বন্দর থেকে বিমানে চাপার পর নেতাজির আর কোনও অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রচলিত সূত্র অনুযায়ি নেতাজি ওই বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ বলেন রাশিয়ায় চলে গিয়েছিলেন নেতাজি। যদিও কোনওটারই কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রাজনীতি ও নেতাজি
১৯২৪ সালে কলকাতার মেয়র হন তিনি। তিনি রাজনীতির অঙিনাতেও ধীরে ধীরে সামনে আসেন।
সংবাদপত্রেও করেছেন কাজ
তিনি লেখালেখির কাজেও দারুণ স্বচ্ছন্দ ছিলেন। ফরোয়ার্ড নামের এক সংবাদ সংস্থায় কাজ করতেন। এছাড়াও তিনি নিজে স্বরাজ নামের একটি সংবাদপত্র চালাতেন।
দেখা করেছেন হিটলারের সঙ্গে
১০ বারের বেশি কারাগারের পিছনে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। ১৯২১ থেকে ১৯৪১ সালে-র মধ্যে দেশের সংগ্রাম আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে পাঠানো হল জেলে। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামকে গতি দিতে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গেও দেখা করেন। ১৯৪১ সালে থেকে দেশবাসীদের উদ্দেশ্যে রেডিও বার্তাও দিতেন নেতাজি।
বিবাহিত জীবন
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু অস্ট্রিয়ান মহিলা এমিলিকে। তাঁদের মেয়ের নাম অনিতা বসু। জার্মানিতে খুব জনপ্রিয় অর্থনীতিবিদ তিনি।
আজাদহিন্দ ফৌজ
আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে এই বাহিনী অনেক বড় ভূমিকা নিয়েছিল।