বায়ু সেনায় অন্তর্ভুক্ত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার! LCH বিষয়টি ঠিক কী?
বায়ু সেনার অন্তর্ভুক্ত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার! LCH জিনিসটি ঠিক কী?
ভারতী বিমান বাহিনীতে এদিন যুক্ত হয়েছে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার। এদিন রাজস্থানের যোধপুরে এক অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীতে এর অন্তর্ভুক্তি সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারে বাহিনীর দক্ষতা আরও বাড়বে।
আকাশে যুদ্ধে ক্ষমতা বাড়বে
ভারতীয় বিমান বাহিনীতে এই হেলিকপ্টারের অন্তর্ভুক্তিতে আকাশে যুদ্ধে ভারতের ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়াও এই হেলিকপ্টার আস্তে চলা বিমান, ড্রোন এবং সাঁজোয়া বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। ১৯৯৯-এর কারগিল যুদ্ধের সময়ে ভারত এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। তারপরেই বিশেষ করে পাহাড়ে যুদ্ধের জন্য এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার তৈরি করা হয়।এই হেলিকপ্টার ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম, যে কোনও আবহাওয়ায় তল্লাশি এবং উদ্ধার কাজে অংশ নিতে পারবে। এছাড়াও শত্রুর এয়ার ডিফেন্স ধ্বংসেও ভূমিকা নিতে পারবে। জঙ্গি কার্যকলাপ বিরোধী অভিযান, জঙ্গল ও শহুরে পরিবেশে জঙ্গি বিরোধী অভিযান, অনেক উচ্চতা থেকে বাঙ্কার ধ্বংস, স্থলবাহিনীকে সাহায্য করতে পারবে। যার ফলে বায়ু সেনার সঙ্গে স্থলসেনাও শক্তিশালী হবে।
|
কী কী থাকছে এই হেলিকপ্টারে
রাষ্ট্রায়ত্ত
হিন্দুস্তান
অ্যারোনটিক্স
লিমিটেডের
তৈরি
এই
হেলিকপ্টার
৫.৮
টন
ওজনের।
দুই
ইঞ্জিনের
গানশিপ
চপারে
থাকছে
এয়ার
টু
এয়ার
মিসাইল,
২০
মিমি
টরেট
গান,
রকেট
সিস্টেম
এবং
অন্য
অস্ত্র।
এদিনের
অনুষ্ঠানে
প্রতিরক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ
সিং
ছাড়াও,
বিমান
বাহিনীর
প্রধান
এয়ার
চিফ
মার্শাল
ভিআর
চৌধুরী
এবং
অন্য
আধিকারিকরা।
এদিন
এয়ার
ফোর্সের
যোধপুর
স্টেশনে
এই
ধরনের
চারটি
হেলিকপ্টার
যুক্ত
করা
হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বলেছেন,
এই
হেলিকপ্টার
তৈরির
ফলে
ভারত
প্রতিরক্ষা
উৎপাদনে
তাদের
সক্ষমতা
প্রকাশ
করতে
পেরেছে।
এই
হেলিকপ্টারের
ডিজাইন
দেশেই
করা
হয়েছে।
যা
উন্নত
এবং
অত্যাধুনিক
বলে
দাবি
করা
হয়েছে
বিমান
বাহিনীর
তরফে।
যেসব জায়গায় ভাল কাজ করবে
শত্রুর মোকাবিলায় লাদাখ এবং মরুভূমিতে এই ধরনের হেলিকপ্টার ভাল কাজ করবে। তবে চিনুক, অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং বর্তমানের এলসিএইচ যুক্ত হওয়ায় গত তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে একাধিক হেলিকপ্টার যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীয় উত্তর ও পূর্ব সীমান্তে নিয়মিত প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহকারী হেলিকপ্টারে মহিলা পাইলট নিয়োগ করেছে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০২২-এর ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে সিসিএস-এর বৈঠকে ৩৮৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৩৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব
আগামী তিন থেকে চার দশকের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এই হেলিকপ্টার তৈরি করা হয়েছে। এর গ্লাস ককপিট এবং কম্পোজিট এয়ারফ্রেম স্ট্রাকচারে দেশীয় প্রযুক্তি আনা হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ভারতের আত্মনির্ভরতার উদ্যোগে আরও গতি আনবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর ফলে প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বদেশীকরণ বাড়বে। এই ধরনের হেলিকপ্টার যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টারের আমদানি কমাবে।
সূর্য যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন কী হয়! গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ ভারতীয় গবেষকদের