অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি, জনস্বার্থ মামলা শুভেন্দুর
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি, জনস্বার্থ মামলা শুভেন্দু
অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে তিনি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবেদনও জানান। সেইসঙ্গে তাঁর আবেদন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে।
শুভেন্দু অধিকারী সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে সভা করবেন। তার আগে তিনি হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করলেন। সেই জনস্বার্থ মামলায় একাধিক দাবি করেন। তিনি এই মামলায় বিশেষ করে আবেদন করেন, বিরোধী প্রার্থীরা যাতে মনোনয়নপত্র পেশ করতে পারেন, তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। এবং তা কমিশনকে সুনিশ্চিত করে জানাতে হবে।
সেইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি এবং রাজ্যের শাসকদলের যে সন্ত্রাসী মানসিকতা তাতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। এবং তা করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে। এখানেই শেষ নয়, তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত আরও আবেদন জানান এই জনস্বার্থ মামলায়।
তিনি জানান, গত ২৯ জুলাই তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত আসনের সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তা খারিজ করার আবেদন জানানো হয়েছে মামলায়। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়। কিন্তু ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা যায় অন্য চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ২০১৮ সালে রাজ্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। সই নির্বাচনে দেখা গিয়েছে ব্যাপক সন্ত্রাসের সাক্ষী ছিল রাজ্য। বিরোধীরা মনোনয়ন পর্যন্ত পেশ করতে পারেননি। তারপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরেও ব্যাপক হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ২০২২ সালেও কলকাতা পুরসভা এবং কাঁথির নির্বাচনেও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তাই ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা জরুরি বলে এই জনস্বার্থ মামলায় আর্জি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি ২০১৮-র পঞ্চায়েতের পর থকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ করে আসছে। আবার একুশের নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হলেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী এই মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সিবিআই এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। অনুব্রত মণ্ডলও এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত।
TMC: আজ ৩ দিনের মেঘালয় সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাচ্ছেন অভিষেকও