শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকছেন! পিকে যা পারেননি, তা করে দেখালেন দুই বর্যীয়ান সাংসদ
শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকছেন! পিকে যা পারেননি, তা করে দেখালেন দুই বর্যীয়ান সাংসদ
রামনগরের মেগা শো-তে বোমা ফাটাবেন শুভেন্দু, এমন আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সে অর্থে কিছুই বলেননি শুভেন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও নিয়েছিলেন, তবে কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তাও দেন তিনি। কিন্তু কেন হঠাৎ এত নমনীয় হয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী? আসলে এর মধ্যে হাওয়া ১৮০ ডি্গ্রি ঘুরিয়ে দিলেন বর্ষীয়ান দুই সাংসদ।
শুভেন্দুর মানভঞ্জন করতে অনেকাংশে সফল তৃণমূল
প্রশান্ত কিশোর যা পারেননি এক লহমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ তা করে দেখালেন তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র এক বৈঠকেই তাঁরা শুভেন্দুর মানভঞ্জন করতে অনেকাংশে সফল। সম্পর্ক মেরামত করতেও তাঁরা প্রত্যয়ী। সৌগত-সুদীপকে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল, আর সুখেন্দু শেখর রায় তার আগে ফলাও করে জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দু দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীও যখন তাড়াননি, তিনিও যখন দল ছাড়েননি
ভাইফোঁটার দিন সন্ধ্যায় গোপন বৈঠক হয় শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া সাংসদের। যুক্তির পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন একে-অপরে। তারপরে মীমাংসার রাস্তায় হেঁটে রামনগরের সভা থেকে ইতিবাচক বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। রামনগরের সভা থেকে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়াননি, আমিও দল ছাড়িনি।
শুভেন্দু ফের কবে তৃণমূলের ব্যানারে সক্রিয় হবেন!
রামনগরের সভায় তাঁর অনেক কথা বলার ছিল, তা তিনি না করলেও, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই আভাস তিনি দিয়ে রাখলেন। এরপরে তাঁর দল ছাড়া বা অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা আপাতত বন্ধ হবে। এখন এই বৈঠকের রেশ ধরে শুভেন্দু ফের কবে তৃণমূলের ব্যানারে সক্রিয় হন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
‘শুভেন্দু দলে থাকলে আমরা সবাই খুশিই হব'
সৌগত রায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য শুনে আমি খুশি। ওঁর সঙ্গে আ মার যখন কথা হয়, উনি দল ছাড়বেন, এমন কোনও মন্তব্য করেননি। বা এমন কোনও আভাসও তিনি দেননি। উনি দলে আছেন, দলেই থাকবেন, উনি দলে থাকলে আমরা সবাই খুশিই হব। উভয়ের এহেন বার্তার পর ধরেই নেওয়া যায়, শুভেন্দু তৃণমূলে থাকছেন।
আগমী সপ্তাহে ফের তৃণমূলের দুই সাংসদের সঙ্গে বৈঠক
আগমী সপ্তাহে ফের তৃণমূলের দুই সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শুভেন্দু অধিকারী, সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে বিষয়টি। প্রথম বৈঠকে শুভেন্দু ষে সমস্ত শর্ত দিয়েছিলেন, সেই শর্ত পূরণে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, তা জানার পরই শুভেন্দু সিদ্ধান্ত নেবেন পাকাপাকিভাবে। উল্লেখ্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেও চেয়েছিলেন।
পিকে যা পারেননি, তা করে দেখালেন তৃণমূলের দুই সাংসদ
এর আগে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে কৌঁথির শান্তিকুঞ্জ পর্যন্ত ছুটেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু শুভেন্দু তাঁকে আমল দেননি। শিশির অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরেছিলেন পিকে। তারপর তৃণমূল সুপ্রিমো দুই প্রবীণ সাংসদকে দায়িত্ব দেন শুভেন্দুকে সঠিক লাইনে ফিরিয়ে আনতে। পিকে যা পারেননি, তা করে দেখান সৌগত আর সুদীপ।
তিনটি শর্ত আরোপ করেন নন্দী্গ্রাম মুক্তি সূর্যের মহানায়ক
শুভেন্দু তাঁদের কাছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে কড়া বার্তা দেন। তিনি পিকে-অভিষেক নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির হাতে যখন দলের রাশ ছিল, তখন কোনও সমস্যা ছিল না বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এই মর্মে তিনটি শর্ত আরোপ করেন নন্দী্গ্রাম মুক্তি সূর্যের মহানায়ক।
'অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, শুভেন্দুকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল সাংসদের