'কথা বলব কার সঙ্গে, কথা বলার মানুষটাও আর রইল না', রবীন্দ্র সদনে শেষ শ্রদ্ধা মুনমুন সেনের
'কথা বলব কার সঙ্গে, কথা বলার মানুষটাও আর রইল না', রবীন্দ্র সদনে শেষ শ্রদ্ধা মুনমুন সেনের
মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন মুনমুন সেন। আজ রবীন্দ্র সদনে প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন মুনমুন সেন। শোকে বিহ্বল অভিনেত্রী জানিয়েছেন, "কথা বলব কার সঙ্গে! কথা বলার মানুষটাও আর রইল না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এবং তাঁর হাত ধরেই সাংসদ নির্বাচিত হওয়া। গত লোকসভা ভোটেও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আসানসোল কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন মুনমুন সেন।
একটা সময়ে সেলুলয়েডের পর্দায় কাজ করেছেন তাঁরা। তখন থেকেই আলাপ পরিচয়। তারপর থেকেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। রাজনীতিতে আসাও সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। গতকাল মন্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ শোনার পর থেকেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফোনে কাউকেই তেমন প্রতিক্রিয়া দিতে পারছিলেন না তিনি। শুক্রবার সকালে যখন তাঁর মরদেহ পিস হাভেন থেকে রবীন্দ্র সদনে নিয়ে আসা হয়। তখন তিনি নিজে বাড়িতে বসে থাকতে পারেননি। একটু বেলা করেই পৌঁছে গিয়েছিলেন রবীন্দ্র সদনে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহে মালা দিেয় শেষ শ্রদ্ধা জানান অভিনেত্রী। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন মুনমুন সেন। তিনি বলেন, 'কথা বলব কার সঙ্গে! কথা বলার মানুষটাও আর রইল না।' সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুনমুন সেনের সম্পর্ক ছিল ভীষণ কাছের। রাজনীতির বাইরেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলকংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন এবং সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ভোটেও আসানসোল কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
সকাল থেকেই রবীন্দ্রসদন চত্ত্বরে ভিড় করেছিলেন একের পর এক রাজনৈতিক নেতা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহে মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এসেছিলেন নিশীথ প্রামাণিকও। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সকাল থেকেই রবীন্দ্র সদনে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস। শেষের দিকে ছায়া সঙ্গী হয়ে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস। এসেছিলেন মদন মিত্রও। তিনি বলেছেন,'সারা ভারতে এক পরিচিত নাম ছিলেন। এ এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল দেশে।'
রবীন্দ্রসদন থেকে ঠিক দুপুর ২টো নাগাদ প্রয়াত মন্ত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভা ভবনে। সেখানে তাঁর দেহ আধঘণ্টা মত রাখা হয়েছিল। মন্ত্রী বিধায়ক এবং স্পিকার তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত নেতাকে।