সারদা কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রীকেও জেরা করুক সিবিআই, দাবি কংগ্রেসের
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই রেলের সঙ্গে সারদার চুক্তি হয়েছিল। উনি সারদা গোষ্ঠীর মালিক সুদীপ্ত সেনকে চিনতেন। রেলের ক্ষমতা ব্যবহার করে উনি সুদীপ্ত সেনকে সুবিধে পাইয়ে দিয়েছিলেন। সিবিআই ওঁকে জেরা করুক। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যদি সততা ও স্বচ্ছতার প্রতীক হন, তা হলে পদত্যাগ করুন। সিবিআই যতক্ষণ না ওঁকে ক্লিনচিট দিচ্ছে, ততক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার থেকেও দূরে থাকা উচিত।"
আরও
পড়ুন:
মুকুলের
মন্তব্যে
ঘোর
অসন্তুষ্ট
মমতা,
দলের
অন্দরে
টানাপোড়েন
আরও
পড়ুন:
লোক
ঠকাবো,
তদন্ত
হলেই
ষড়যন্ত্র!
সারদা
ইস্যুতে
মমতাকে
তোপ
প্রাক্তন
বিচারপতির
আরও
পড়ুন:
রেল-সারদা
চুক্তির
দায়
মমতার
দিকে
ঠেললেন
মুকুল,
বিপদে
ভাই
পালাচ্ছে,
কটাক্ষ
অধীরের
একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার গলায়। তিনি বলেন, "হাওলা কেলেঙ্কারিতে নাম ওঠায় সব পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানি। নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার পর ফের তিনি পদে যোগ দেন। এই হল নৈতিক দৃঢ়তা। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও পদ ছাড়া উচিত।" সারদা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেন রাহুলবাবু।
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি করেছে। তবে বামফ্রন্ট এখনও সেই দাবি তোলেনি। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু শুধু বলেছেন, "২০১২ সালে উত্তরবঙ্গের ডেলোতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে সাংসদ কুণাল ঘোষ আর তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রথম সারির নেতা উপস্থিত ছিলেন। ডেলোতে কী কথা হয়েছিল, রাজ্যবাসী জানতে চায়। কার কথায় সুদীপ্ত সেন ভবানীপুরের ক্লাবগুলিকে টাকা দিয়েছিলেন, রাজ্যবাসী তা-ও জানতে চায়।"