মুকুল রায় আগাগোড়া সব জানেন তৃণমূলের, দায় চাপিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ পার্থ'র
যাবতীয় দায় চাপালেন তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়ের ঘাটেই। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি্ সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন মুকুল রায় সব কিছু জানেন।
যাবতীয় দায় চাপালেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়ের ঘাটেই। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি্ সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন মুকুল রায় সব কিছু জানেন। কারণ সারদাকাণ্ড-সহ চিটফান্ড কেলেঙ্কারি যখন সামনে আসে, তখন তৃণমূলে তহবিল ও লেনদনে সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব পালন করতেন মুকুল রায়।
সিবিআইযের তলব পেয়ে পার্থ ও সুব্রত
সম্প্রতি চিটফান্ড-কাণ্ডে সিবিআইযের তলব পেয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সি। তাঁরা তহবিল সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই আধিকারিকদের সামনে যাবতীয় দায় বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের উপর চাপিয়েছেন তাঁরা। মমতার ছবির প্রদর্শনীর সঙ্গে চিটফান্ডকাণ্ডের কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছে সিবিআই।
প্রশ্নে তৃণমূলের ‘জাগো বাংলা’
যেহেতেু ওই প্রদর্শনী করেছিল তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা'। এবং প্রদর্শনী থেকে অত্যন্ত চড়া মূল্যে বেশ কিছু ছবি কিনেছিলেন চিটফান্ড সংস্থার মালিক। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কেনা সেই ছবি নিয়ে তদন্তের জন্যই পার্থ ও সুব্রতকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
মুকুল দেখতেল তহবিল
সিবিআই আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পার্থ জানান, মুকুল রায়ই দলের তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ করতেন লেদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তিনিই জানতেন। পাল্টা মুকুল রায় জানান, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। ২০০৫ সালেই আমি জাগো বাংলা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তৃণমূল এসব করছে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে। আরও দুই প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ সেই সময় ‘জাগো বাংলা'র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তখন দায়িত্বে ছিলেন না পার্থ
পার্থ আরও জানান, তিনি ২০১৩ সালে ‘জাগো বাংলা'র সম্পাদকও ছিলেন না আর দলের সাংগঠনিক প্রধানও ছিলেন না। সেই সময় তহবিল ও লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় ঠিক হয়েছিল, সে বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এর আগে সারদা-কাণ্ডে একাধিকবার সিবিআই তলব করেছিল মুকুল রায়কে।