সারদায় সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তুলতে চলেছে সেবি! অংশ নিতে পারেন আপনিও
সারদায় সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তুলতে চলেছে সেবি! অংশ নিতে পারেন আপনিও
সারদায় বড় পদক্ষেপ 'সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া' অর্থাৎ সেবির! গত কয়েক বছর আগে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। সেই ঘটনায় একাধিক প্রভাবশালীর নাম সামনে আসে। এমনকি গ্রেফতার করা হয় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে। বড়সড় এই কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হতেই কার্যত মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে কয়েক লাখ আমানতকারীর। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই সংক্রান্ত মামলার তদন্ত চলছে। অবশেষে সারদার সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তুলতে চলেছে সেবি।
৯ নভেম্বর ই-অকশন হবে বলে জানানো হয়েছে
ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে 'সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া'। আগামী ৯ নভেম্বর ই-অকশন হবে বলে জানানো হয়েছে। যেখানে সারদা সংস্থা এবং ডিরেক্টরদের সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি নিলামে উঠবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিলামে অংশ নেওয়ার জন্যে আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এর আগেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত্য উৎসবের পরিস্থিতির কথা ভেবে নিলামে অংশ নেওয়ার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
একটা ধোঁয়াশা রয়েছে
তবে নিলামের টাকা কারা পাবে তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। এমনকি সেবির তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মামলা চলছে। আইনি জটিলতায় আটকে অনেক কিছু। এই অবস্থায় সেবির বিজ্ঞপ্তিতে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন কয়েক লাখ আমানতকারী। বলে রাখা প্রয়োজন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের কমিটির হাতে সারদা সংক্রান্ত মামলার ফাইল রয়েছে।
৫০০ কোটির তহবিল গড়ার কথা
বলে রাখা প্রয়োজন, সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরেই ৫০০ কোটির তহবিল গড়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এমনকি শ্যামল সেন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটির হাতে রাজ্য ২৮৭ কোটি টাকা দেয়। আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ তা দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ১৪০ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন এক আইনজীবী। উল্লেখ্য, শুধু সারদাই নয়, একের পর চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে বাংলায়। বাজার থেকে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছে চীটফান্ড সংস্থাগুলি। কিন্ত্য আদালতের নির্দেশে সমস্ত চিটফান্ড কেলেঙ্কারি তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি।
ভাবা হচ্ছে আমানতকারীদের টাকা
আমানতকারীদের পক্ষে আইনজীবী অরিন্দম দাস বার বার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কি ভাবে গরিব খেটে খাওয়া মানুষের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া যায়। প্রাক্তন বিচারপতি এস পি তালুকদারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে উদ্যোগী হন তিনি। আর সেই মতো গত কয়েকদিন আগেই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পৈলান গ্রপের যাঁরা আমানতকারীদের কাউন্সিল স্ট্রিট হাউসে কয়েকশ ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০হাজার টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়। প্রায় ৮৫ হাজার আমানতকারীর হাতে এই টাকা তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
রাহুল গান্ধী ভারত পরিক্রমায় 'স্প্রিন্টারে’র ভূমিকায়! ছুটছেন কর্মীরাও, দেখুন ভিডিও