মমতার কাছে গোহারা হারলেন মুকুল! পিছিয়ে পড়েও গোলের বন্যায় জয় ছিনিয়ে নিলেন তৃণমূল নেত্রী
লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানে হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সেই ভাঙন প্রবণতা রুখে উলট পুরান ঘটিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানে হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সেই ভাঙন প্রবণতা রুখে উলট পুরান ঘটিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। মুকুল-গড় থেকে শুরু করে দিলীপ-গড়েও ভাঙন ধরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই পর্বে মুকুলকে গুনে গুনে গোল দিলেন মমতা।
তৃণমূল ভেঙে কটাক্ষ, মুকুলকে জবাব
লোকসভা ভোটের পর বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসে নেতা-নেত্রীদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে যোগদান করাচ্ছিলেন। বেশিরভাগ যোগদানই হচ্ছিল মুকুল রায়ের হাত ধরে। এমনকী মুকুল রায় বলেছিলেন, সাত দফায় এই যোগদান প্রক্রিয়া চলবে। এমনও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি যে, এই যে যোগদান চলছে, এগুলো সবই বর্ধিত প্রথম পর্বের যোগদান প্রক্রিয়া।
উল্টে প্রত্যাঘাত শুরু করেছে তৃণমূল
এরপর অবশ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান প্রক্রিয়াকে দ্বিতীয় দফার যোগদান বলে কোনও ঘোষণা হয়নি। তৃণমূল ছে্ড়ে বিজেপিতে যোগদান হয়েছে, কিন্তু সেই থরহরিকম্প অবস্থা থেকে অনেকটাই মুক্ত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। উল্টে তারা প্রত্যাঘাত করতেও শুরু করেছে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার হিড়িক
অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিজেপি ছেড়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন দলত্যাগী নেতা-কর্মীরা। বলা ভালো বিজেপিতে মোহভঙ্গের পর ফের তাঁরা ফিরে আসছেন তৃণমূলে। এমনি করেই হৃত পঞ্চায়েত, পুরসভাও পুনর্দখল করেছে তৃণমূল। এই ঘটনাকে মমতার কাছে মুকুলের হার বলে ব্যাখ্যা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মুকুল রায়কে দাঁড় করিয়ে গোল মমতার
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এখন মুকুল রায়কে দাঁড় করিয়ে গোল দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উলট পুরান ঘটিয়ে একের পর এক ক্ষেত্রে জয় ছিনিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। একটা একটা করে পঞ্চায়েত-পুরসভা ফের দখলে আসছে তৃণমূলের। বেদখল হওয়া পার্টি অফিস ফিরে আসছে তৃণমূলের হাতে।
১৫০ জন নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে
সম্প্রতি বর্ধমানের কেতুগ্রামের পালিট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫০ জন নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কেতু্গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজের হাত ধরে ১৫০ জন বিজেপি কর্মী যোগদান করেন তৃণমূলে। বিধায়ক বলেন, মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপি দলটা সাধারণ মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকারক।
মুকুল গড়ে থাবা বসিয়েছে শাসক তৃণমূল
মুকুল গড়েও ভাঙন অব্যাহত থেকেছে বিজেপিতে। মুকুল গড়ে থাবা বসিয়েছে শাসক তৃণমূল। ঝাঁকে ঝাঁকে কর্মীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মীরা নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। তাঁরা আবার পুরনো দলে ফিরে এসেছেন।
বিজেপিতে মোহভঙ্গ, ঘরওয়াপসি সুব্রতর
এলাকার জনপ্রিয় নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। তিনিও সদলবলে ফের পাড়ি জমিয়েছেন তৃণমূলে। বিজেপিতে গিয়ে গুরুত্ব না পেয়ে তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। মনে হয়েছে তৃণমূলও শ্রেয়, তাই তাঁদের কামব্যাকের ভাবনা বলে জানিয়েছেন ঘরওয়াপসি নেতারা।
বিজেপির হাত থেকে ফের তৃণমূলের পুরসভা
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক তথা গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল সিং। তাঁর সঙ্গে অধিকাংশ কাউন্সিলরও দল ছেড়েছিলেন। কাউন্সিলররা ফের তৃণমূলে নাম লেখানোয় পুরসভার কর্তৃত্ব বিজেপির হাত থেকে ফের তৃণমূলের হাতে এসেছে। পুরসভার চেযাম্যান নিজে হার স্বীকার করে সরে গিয়েছেন।
কেষ্ট-গড়ে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দিল তৃণমূল
একইভাবে অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বিজেপি বাড়তে শুরু করেছিল। সেখানে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দিল তৃণমূল। নিহত স্বরূপ গড়াইয়ের স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির আন্দোলনকেই দুমড়ে-মুচড়ে দিলেন। স্বরূপ গড়াইয়ের স্ত্রী প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন তাঁর স্বামী তৃণমূল করতেন। বীরভূমের এই অনুষ্ঠানেও বিজেপি ছেড়ে ঘরওয়াপসি হয় মমতার দলে।
মমতার কাছে মুকুলের শোচনীয় পরাজয়
বীরভূমের সুরুল গ্রামের ৪০০ জন নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অসিত মাল। রানজনৈতিক মহল মনে করছে এটা অনুব্রত মণ্ডলের মাস্টারস্ট্রোক। একইসঙ্গে এই জেলায় জেলায় তৃণমূলে ঘরওয়াপসির হিড়িক আসলে মমতার কাছে মুকুলের শোচনীয় পরাজয়।
দিলীপ-গড়েও ভাঙন ধরাল তৃণমূল কংগ্রেস
পুজো শেষে পের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার ধারা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুরেও। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের জামকুণ্ডা বুথের ৩০ জন কর্মী। তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানান তাঁরা। এদিন বিজেপির পতাকা পুকুরে ফেলে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন কর্মীরা।
দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধার খানাকুলে
লোকসভা নির্বাচনের পর খানাকুলের কিশোরপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দিপুর গ্রামের সাত নম্বর সংসদ কার্যালয় হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। এদিন তা পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হল তৃণমূল। এই পঞ্চায়েতের বেশকিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কার্যালয়টি বিজেপির দখলে চলে গিয়েছিল। এরপর নেতাদের বিজেপিতে মোহভঙ্গ হওয়ায় ফিরে আসেন তৃণমূলে। ফের তৃণমূল ফিরে পায় তাদের অফিস।
[ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব! এবার গো-রক্ষকের ভূমিকায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী]
[ রাফায়েল বিমান পুজো নিয়ে মুখ খুললেন রাজনাথ]