সংস্পর্শে না এলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
সংস্পর্শে না এলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
করোনার প্রভাবে কিছুটা হলেও লাগাম টানা গিয়েছে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছে জনজীবন। কিন্তু এতেই বাদ সেধেছে করোনার নতুন প্রজাতি 'ওমিক্রন’। দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্ভূত করোনার এই নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের জেরে গোটা বিশ্বে বাড়ছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যে বিশ্বের মোট ৩৮ টি দেশে প্রভাব বিস্তার করেছে করোনার নতুন প্রজাতি। ভারতেও পাওয়া গিয়েছে এর অস্তিত্ব।
ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে হংকং
চিনের ইউহানে প্রথম উৎপত্তি হয়েছিল এই মারণ ভাইরাসের। এবার ফের হংকংয়ের একটি ঘটনা আরো চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। হংকংয়ের একটি হোটেলে কোয়ারান্টিনে রয়েছেন ওমিক্রনে আক্রান্ত দুইজন। হোটেলের আলাদা ঘরে রয়েছেন তারা।কারোর সংস্পর্শে না আসলেও তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এটাই বাড়ছে চিন্তা। জানা গিয়েছে আক্রান্ত দুজন করোনার দুটো টিকাই নিয়েছেন। তার পরেও সংক্রমিত হয়েছেন নতুন ভাইরাসে। দুটি আলাদা ঘরে থাকা সত্ত্বেও দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে।
কী বলছে সমীক্ষার ফল?
বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, হংকংয়ের হোটেলে থাকা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। সেই কারণে তাদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা থেকেও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, করোনার কোনো উপসর্গ এক আক্রান্তের শরীরে ছিলনা। কিন্তু টেস্ট করার পর সার্স কোভ-২ রিপোর্ট ধরা পরে। ১৩ নভেম্বর এই বিষয়টি ধরা পরে। এরপরেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোন আক্রান্তের শরীরে সামান্য লক্ষণ ছিল। সেই কারণে তখনই তাকে আলাদা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ স্পষ্ট দেখা গিয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের ঘর ছেড়ে কখনোই বের হননি। শুধু তাই নয় তারা কারোর সংস্পর্শেও আসেননি।
ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক মোদীর, কোন কোন বিষয়ে আলোচনা টু প্লাস টু বৈঠকে
ওমিক্রন ছড়াচ্ছে কোন মাধ্যমে?
সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, ওমিক্রন ছড়াচ্ছে বায়ু মারফত। আক্রান্তদের শারীরিক পরীক্ষা ও খাবার দেওয়ার সময় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। আক্রান্ত দুজন একদিনের ব্যবধানে হোটেলে এসেছিলেন। তাই হোটেলে সংক্রমণ সেই সময়ই ছড়িয়ে পড়েছে।
ডেল্টার থেকেও বেশি সংক্রমক!
এখনও পর্যন্ত করোনার সবথেকে ক্ষতিকারক প্রজাতি ছিল ডেল্টা। কিন্তু ৩০ টি প্রোটিন পার্টিকল পাল্টেছে ওমিক্রন। তাই আশঙ্কা ডেল্টা ও বিটা রূপের তুলনায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই বেশী হওয়ার। যে সব ব্যক্তি করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন, তাদের নতুন প্রজাতির ভাইরাস ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সঙ্গে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকেটাই বেশী।দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম মিলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের খবর। ধীরে ধীরে বিশ্বের ৩৮ টি দেশে থাবা বসিয়েছে সে। ডেল্টা ও বিটা থেকে বেশ কিছুটা চরিত্র বদল করেছে ওমিক্রন।