ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক মোদীর, কোন কোন বিষয়ে আলোচনা টু প্লাস টু বৈঠকে
ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক মোদীর, কোন কোন বিষয়ে আলোচনা টু প্লাস টু বৈঠকে
ওমিক্রন আবহের মধ্যেই মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজই ভারতে পা রাখবেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। আগেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। টু প্লাস টু বৈঠকে অংশ নেবেন তাঁরা।
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে একাধিক বিষয়ে প্রাধান্য পেতে পারে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ব্রিকস সম্মেলনে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। করোনা সংক্রমণ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর আর কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেননি তাঁরা। শুধু ভারত-রাশিয়া নয় বিশ্বের কোনও দেশই একে অপরের সঙ্গে বৈঠক করেননি। নিজ নিজ দেশে মহামারী পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে আবার নতুন করে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের।
কিন্তু তারপরেই বৈঠক বাতিল করেনি দুই দেশ। ওমিক্রন সংক্রমণ তেমন ভয়াবহ নয় আঁচ করেই বৈঠকে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। কড়া নিরাপত্তায় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সামিটে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রতিরক্ষা থেকে মহাকাশ একাধিক ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। বিশেষ করে নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা করতে পারেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আফগানিস্তানে তালিবান শাসনে কায়েম হওয়ার পরে এই প্রথম রাশিয়া ভারত মুখোমুখি বৈঠকে বসছে। রাশিয়া প্রথম েথকেই আফগানিস্তান তালিবান শাসনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু ভারত এখনও পুরোপুরি ভাবে আফগানিস্তানে তালিবান শাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি।
দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার আগে টু প্লাস টু অর্থাৎ বিদেশ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক স্তরে বৈঠক রয়েছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেনভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এবং তারপরেই রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগুর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
করোনা টিকাকরণের গতি বজায় রাখতে হবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম দেওয়া হতে পারে সেই ক্ষেপনাস্ত্রের প্রেসেন্টশনও। এই মিসাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে ভারতে পৌঁছতে শুরু করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের এই অস্ত্র কেনার বিষয়টি নিয়ে আমেরিকা প্রথম থেকেই প্রবল আপত্তি জানিয়ে আসছিল। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইগলা নিয়েও দু'দেশের মধ্যে কথা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাকে শক্তিশালী করতেই মোদী সরকার অত্যাধুনিক সব অস্ত্র কেনার উপরে জোর দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভারতে একাধিক অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান আনা হয়েছে। রাফাল জেট তার মধ্যে অন্যতম।