'আড়ি পাতা নিয়ে সরকারকে জানিয়েছিল, প্রমাণ করুক হোয়াটসঅ্যাপ'
আড়ি পাতা বিতর্কে হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্যকে ব্যবহার করে কেন্দ্রকে আক্রমণ করা বৃথা। হোয়াটসঅ্যাপ বিতর্কে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের নেতা অমিত মালভিয়া।
আড়ি পাতা বিতর্কে হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্যকে ব্যবহার করে কেন্দ্রকে আক্রমণ করা বৃথা। হোয়াটসঅ্যাপ বিতর্কে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের নেতা অমিত মালভিয়া। গতকাল এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, "হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্যকে আমরা সর্বাঙ্গীন সত্য হিসেবে মানতে পারি না। সেই বক্তব্যের নিরিখে সকারকে আক্রমণ করা যায় না।" পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে হোয়াটসঅ্যাপ প্রমাণ করুক যে সরকারকে তারা এই বিষয়ে আগেই অবগত করেছিল।
অমিত মালভিয়ার বক্তব্য
মালভিয়া বলেন, "হোয়াটসঅ্যাপ যদি সত্যি সত্যি সরকারকে এই আড়ি পাতার বিষয়ে জানিয়েছিল, তাহলে সেই নথি কই? তাদের উচিৎ সরকারকে পাঠানো সেই চিঠি তারা সর্বসামক্ষে তুলে ধরুক।" পাশাপাশি সরকারের পক্ষ নিয়ে তিনি দাবি করেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে যে ইজরায়েলের সংস্থা এনএসও-র তৈরি করা স্পাইওয্যার তারা তাদের কোনও সংস্থাকেই ব্যবহার করতে দেয়নি।"
হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্য
এই বিতর্কে গতকালই মুখ খোলে হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের বক্তব্য, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হোয়াটস্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। গত মে মাসেই একটি নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যা সমাধান করা হয় এবং ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানিয়েছে, তাদের কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। যার ফাঁকফোকর খুঁজে বের করেই এই হ্যাকিং চালানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এই বিষয়ে তারা ভারত সরকারকে গত মে মাসেই অবগত করেছিল।
হোয়াটসঅ্যাপ বিতর্কের সূত্রপাত
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই খবর ছড়ায়, ভারত, আমেরিকা সহ মোট ২০টি দেশের উচ্চপদে থাকা সরকারি আধিকারিক ও সেনা কর্তার হোয়াটসঅ্যাপের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে। ঠিক কী কারণে এই নজরদারি তা ঠিক স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে কোনও কূটনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে। এবং এজন্য ইজরায়েলের হ্যাকিং টুল ডেভলপার এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ একটি মামলা দায়ের করেছে।
বিরোধীদের তোপের মুখে কেন্দ্র
এদিকে এই বিতর্ক সামনে আসতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই বিষয়ে সরকারকে তোপ দেগে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সরকারকে একহাত নিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, "হোয়াটসঅ্যাপের থেকে সরকার জানতে চেয়েছে যে আড়ি পাতার জন্য এই প্রযুক্তি কে এনেছে। এটা অনেকটা দাঁসোকে জিজ্ঞাসা করা মতো যে, ভারতকে রাফাল বিক্রি করে সবথেকে লাভবান কে হয়েছে।"