তসলিমা নাসরিনের চিকিৎসা বিভ্রাট! পঙ্গু জীবন পেতেই কি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচে চিকিৎসা, প্রশ্ন লেখিকার
বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করছিলেন লেখিকা তলসিমা নাসরিন। তাঁর অনুরাগীরা তা শেয়ারও করছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেখানেই তার বিস্তারিত জানালেন তিনি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি চিকিৎসা বিভ্রাটের অভিয
বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করছিলেন লেখিকা তলসিমা নাসরিন। তাঁর অনুরাগীরা তা শেয়ারও করছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেখানেই তার বিস্তারিত জানালেন তিনি।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি চিকিৎসা বিভ্রাটের অভিযোগ তুলেছেন । এই মুহূর্তে কীভাবে পজিটিভ হওয়া যায়, তা তিনি বুঝতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন।
সোমবারের পোস্টে বেড়েছিল জল্পনা
গত সোমবার তসলিমা নাসরিন একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন। সেখানকার ভাষা নিয়ে লেখিকার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। সেখানে তিনি লেখেন, এক মুহূর্তে একটি মৃত্যু ঘটেছিল। সেই মৃত্যু তাঁর উচ্ছল উজ্জ্বল জীবনকে গ্রাস করে নিয়ে একটি স্তব্ধ স্থবির জীবন ফেলে রেখে গেছে। এই জীবনটি তাঁর নয়, অথচ তাঁর। সেই মৃত্যুতে কেঁদেছিল বোন। বোনের অনেকে আছে, পরিবার পরিজন। বোনের চোখের জল ছাড়া তাঁর সম্পদ কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন তসলিমা।
চিকিৎসা বিভ্রাটের অভিযোগ
বুধবার করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তসলিমা নাসরিন বলেছেন, তাঁর হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক হয়নি। বড় পাজামা পরে হাঁটতে দিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তারপরে হাঁটুতে ব্যথা। এক্সরের পরে দুটি অপশন দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো তিনি ফিক্সেশান করানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নে। কিন্তু ওটিতে ঢোকার মুখে তাঁকে জানানো হয় হিপ রিপ্লেসমেন্ট ছাড়া উপায় নেই। সেই সময় দ্বিতীয় মতামত নেওয়ার সময় পর্যন্ত চিকিৎসকরা দেননি বলে অভিযোগ করেছেন লেখিকা। তারপর থেকেই তিনি পঙ্গু বলে অভিযোগ। তাঁর প্রশ্ন পঙ্গু জীবন পেতেই কি বেসরকারি হাসপাতালে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, মাথায় ব্যথা পেয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন, কিন্তু মাথাটাই কেটে নেওয়া হয়েছে।
মানসিকভাবে শক্ত তসলিমা
বাংলাদেশ সেকুলার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মীর মোনাজ হক ফেসবুকে তলসিমা নাসরিনের হাসপাতালে ভর্তির থাকার একটি ছবি পোস্ট করে বলেছেন, সবে তো ৬০ বছর হলো। আরও বহুদিন বাঁচতে হবে তাঁকে। দিল্লির এক হাসপাতালে তিনি রয়েছেন বলে জানিয়ে মীর মোনাজ হক বলেছএন, মানসিকভাবে শক্ত মনের মানুষ তসলিমা। তসলিমা নাসরিনকে বাংলাদেশের তিন যুগের আলোচিত এই প্রতিবাদী লেখক, সাহিত্যিক ও কবি বলেও বর্ণনা করেছেন।
তসলিমার লড়াই দীর্ঘজীবী হোক
তসলিমা নাসরিনের হাসপাতালে শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করে বাংলাদেশের এক লেখক সাকিল মাসুদ সম্প্রতি পোস্ট করেছেন, তিনি একজন একজন সত্যভাষি এবং সত্যদ্রষ্টা কবি ও লেখক। যিনি মানুষের কল্যাণে মরণোত্তর দেহদান করেছেন ২০১৮ সালে। অসুস্থতার খবরে তিনি লিখেছেন, তসলিমা নাসরিনের লড়াই দীর্ঘজীবী হোক।
Weather News: মেঘলা আকাশে বইছে শীতল হাওয়া, ফের কি কনকনে ঠান্ডা? একনজরে বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়া