ওমিক্রনে কাজ করছে না, দুটি অ্যান্টিবডি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হুয়ের
ওমিক্রনে কাজ করছে না, দুটি অ্যান্টিবডি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হুয়ের
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু করোনা চিকিৎসায় দুটি অ্যান্টিবডি সোট্রোভিমাব এবং ক্যাসিরিভিমাব-ইমডেভিমাব ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের একটি দল জানিয়েছে, বর্তমানে করোনার ওমিক্রন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এই দুটো অ্যান্টিবডি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সেভাবে কাজ করে না। সেই কারণে হু এই দুটি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
করোনা মহামারী যখন বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, সেই সময় সোট্রোভিমাব এবং ক্যাসিরিভিমাব-ইমডেভিমাব এই দুটো অ্যান্টিবডিকে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্বে সব থেকে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনার ডেল্টা স্ট্রেন। করোনার এই স্ট্রেনে মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি ছিল। সেই সময় সোট্রোভিমাব এবং ক্যাসিরিভিমাব-ইমডেভিমাব ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, এই দুটো অ্যান্টিবডি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। কিন্তু পরীক্ষাগারে গবেষণার পর প্রথম মার্কিন বিজ্ঞানীরা এই দুটো অ্যান্টিবডির বিরোধিতা করেন।
বৃহস্পতিবার হুয়ের বিশেষজ্ঞরা ব্রিটেনের একটি মেডিক্যাল জার্নালে করোনা রোগীদের এই দুটি অ্যান্টিবডি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। গত বছর সোট্রোভিমাব এবং ক্যাসিরিভিমাব-ইমডেভিমাব অ্যান্টিবডি দুটি ব্যাপক পরিমাণে বিক্রি হয়। গত বছর সব থেকে বেশি এই দুটো ওষুধ বিক্রি হয়েছিল বলে জানা যায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন বিজ্ঞানীরা প্রথম সোট্রোভিমাবের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরেই একাধিক পরীক্ষায় দেখা যায় সোট্রোভিমাবের করোনা ওমিক্রণের ওপর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। লন্ডনের কিংস কলেজের ফার্মাসিউটিক্যাল মেডিসিনের ভিজিটিং প্রফেসর পেনি ওয়ার্ড বলেন, একাধিক দেশ পরীক্ষায় অনেক আগেই জানিয়েছে, এই দুটো ওষুধ ওমিক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অক্ষম। হুয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি সব শেষে সিদ্ধান্ত নিল।
গুরুগ্রামের মেদান্ত-দ্য মেডিসিটির ইনস্টিটিউট অফ ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড অ্যানেস্থেসিওলজি চেয়ারম্যান চিকিৎসক ইয়াতিন মেহতা বলেন, ভারতে এই দুটি অ্যান্টিবডি করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের সময় ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু করোনার সাব ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের ক্ষেত্রে প্রোটিন ও স্পাইকের পরিবর্তন হয়েছে। এক্ষেত্রে ওষুধগুলোর পরিবর্তন না করলে তা ব্যবহারে কোনও উপকার পাওয়া যাবে। তাই ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এই ওষুধগুলো ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা হুয়ের তরফে জারি করা হয়েছে। যদিও হুয়ের নির্দেশিকা আসার আগেই ভারত সরকার এই দুই অ্যান্টবডি ব্যবহারের ওপরে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা জারি করেছিল। তিনি পাশাপাশি জানিয়েছেন, ডেল্টা ওয়েভের সময় এই অ্যান্ডবডি খুব কার্যকর ছিল। করোনায় গুরুতর অসুস্থদের এই অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়েছিল। উপকার পাওয়া গিয়েছিল।