চোখ রাঙাচ্ছে 'টমেটো ফ্লু', কেরলে বেশকিছু শিশু আক্রান্ত হতেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা
চোখ রাঙাচ্ছে 'টমেটো ফ্লু', কেরলে বেশকিছু শিশু আক্রান্ত হতেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা
করোনা এখনও বিদায় নেয়নি পৃথিবী থেকে। বরং, আবার একটু একটু করে নিজের করাল থাবা বিস্তার করে চলেছে এই মারণ ভাইরাস। বারবার নিত্য নতুন রূপে ফিরে আসছে সে। সাধারণ মানুষ তো বটেই, তাবড় বিশিষ্টরা এমনকি বিশ্বের অন্যতম সেরা সফটওয়্যার সংস্থা মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকেও ছেড়ে কথা বলেনি করোনা। এদিকে দেশের একাধিক রাজ্যে সংক্রমণের হার ফের ওঠানামা করছে, এই পরিস্থিতিতে বিষ ফোঁড়ার মত নতুন করে ভয় দেখাচ্ছে আরেকটি জ্বর। যার পোশাকি নাম টমেটো ফ্লু। রোগটি প্রথম দেখা গিয়েছে কেরলে। ইতিমধ্যে কেরলে এই ঘটনার খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
টমেটো ফ্লু এর সন্ধান
কেরলে টমেটো ফ্লু এর শণাক্ত হওয়ার পর তামিলনাড়ু তার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কোল্লাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলাতেও কিছু রোগীর সন্ধান মিলেছে। জ্বরের খবর মিলেই পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্তদের শরীরে ছোট ছোট লাল ফোস্কার সঙ্গে জ্বর আসছে। এই কারণেই এর নামকরণ করা হয়েছে টমেটো ফ্লু।
স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি
কোয়েম্বাটোরের স্বাস্থ্য পরিষেবার ডেপুটি ডিরেক্টর পি অরুণা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়ের ওপর নজরদারি চলছে। তিনটি দল নিজেদের মতো করে নজরদারি করছে। রাজস্ব পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করছে। কারোর জ্বর বা শরীরে কোনও ক্ষত হলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কারা আক্রান্ত
এতদিন মানুষের বার্ড ফ্লু বা সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন হল টমেটো ফ্লু। এই নতুন ধরনের জ্বরে মূলত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এখনও পর্যন্ত পাঁচ বছর এবং তার কম বয়সী শিশুদেরই আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। কেরালায় যে কয়েকটি টমেটো ফ্লুয়ে আক্রান্তের খবর এসেছে সবকটি শিশুই ৫ বছরের নিচে বলে জানা গিয়েছে, আর যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।
কী কী উপসর্গ
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে জোরালো জ্বর। পেট ব্যথা, গা বমি বমি, ডায়রিয়া, জয়েন্টে ব্যথা, হাঁচিকাশি রয়েছে উপসর্গের মধ্যে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাত-পায়ের রঙের পরগবর্তন হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নতুন হওয়ার কারণে এই রোগের এখনও পর্যন্ত কোনও আলাদা চিকিৎসা নেই। তাই আক্রান্তদের সঠিকভাবে দেখাশোনা অত্যন্ত প্রয়োজন। জ্বরের কারণে শরীরে জলের পরিমাণ বেশ কিছুটা কমে যাচ্ছে। এই কারণে পরিমাণমতো জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফোস্কাগুলো যাতে কোনভাবে ফেটে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
বলা
হচ্ছে
যে
রোগটি
সংক্রমক
হওয়ার
কারণে
আক্রান্ত
কে
আলাদাভাবে
রাখতে
হবে।
না
হলে
এটি
দ্রুত
ছড়িয়ে
পড়বে।
সংক্রামিত
শিশুর
ব্যবহৃত
বাসনপত্র,
জামাকাপড়
এবং
অন্যান্য
জিনিসপত্র
অবশ্যই
জীবাণুমুক্ত
করতে
হবে।
উপসর্গ
গুলির
মধ্যে
কয়েকটি
দেখা
দিলে
চিকিৎসকের
পরামর্শ
নিতে
বলেছেন
বিশেষজ্ঞরা।
দু'বছর পরও উপসর্গ থাকছে করোনা সংক্রমিতদের, বলছে ল্যানসেটের গবেষণা