বাড়িতে খেয়েছিলেন অমিত শাহ, পালন হয়নি প্রতিশ্রুতি! অভিযোগ বাঁকুড়ার আদিবাসী পরিবারের
ঠিক একবছর আগে বাড়িতে এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপির (BJP) কোনও পদে না থাকলেও, বাঁকুড়ার চতুরডিহির বিভীষণ-মণিকা হাঁসদার (Manika Hansda) বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই সময় নিজের মেয়ের শারীরিক অ
ঠিক একবছর আগে বাড়িতে এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপির (BJP) কোনও পদে না থাকলেও, বাঁকুড়ার চতুরডিহির বিভীষণ-মণিকা হাঁসদার (Manika Hansda) বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই সময় নিজের মেয়ের শারীরিক অবস্থার কথা বলতেই অমিত শাহ (Amit Shah) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে হাঁসদা পরিবার। যদিও দুইদলই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এসেছিলেন অমিত শাহ
২০২০-র শেষের দিক। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ঘনঘন রাজ্যে আসছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কখনও আদিবাসী, কখনও তফশিলি পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন। এমনই এক দিন ছিল ৫ নভেম্বর। বিজেপির কোনও পদে না থাকা সত্ত্বেও বাঁকুড়ার চতুরডিহির আদিবাসী পল্লির বিভীষণ হাঁসদা এবং মনিকা হাঁসদার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাড়ি আদিবাসী নকশায় সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি তিনটি উনুনে রান্না হয়েছিল। নিরামিষ মেনুতে ছিল ভাল, ডাল, বাঁকুড়ার আলুপোস্ত, কুমড়োর ঝাল, চাটনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাড়িতে আসায় আপ্লুত হয়েছিলেন খেতমজুর বিভীষণ হাঁসদা। অমিত শাহের সামনে গ্রামে জলের সমস্যা ও উন্নতির দাবি পাশাপাশি নিজের মেয়ের চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। অমিত শাহ তাতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে দাবি বিভীষণ হাঁসদার।
টানাটানি শুরু করেছিল তৃণমূলও
অমিত শাহ চলে যাওয়ার পরেই হাঁসদা পরিবারকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল বিজেপির মধ্যে। বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের নেতারা গিয়ে সাহায্যের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরমধ্যে অবশ্য ভোট হয়ে গিয়েছে। একবছর পরে প্রতিশ্রুতির নামমাত্র পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই হাঁসদা পরিবার।
পর্যাপ্ত নয় বিজেপির সাহায্য, তৃণমূল কিছুই করেনি
বাড়িতে অমিত শাহ আসার একবছর পূর্তিতে বিভীষণ হাঁসদা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বিজেপি সাংসদ প্রথমের দিকে ওষুধের ব্যবস্থা করেছিলেন, তবে তারপর থেকে তার তা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে তৃণমূলও কিছু করেনি বলে অভিযোগ করেছেন বিভীষণ। স্ত্রী মনিকাও একই অভিযোগ করে নিজেদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মূলত মেয়ের চিকিৎসার খরচ নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
পাশেই রয়েছে, দাবি বিজেপি-তৃণমূলের
বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে নিয়মিত ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়াও হাতে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান (সংগঠন) শ্যামল সাঁতরা দাবি করেছেন, তারা বিভীষণ হাঁসদার সঙ্গে যোগাযোগে আছেন। তাঁর অভিযোগ অমিত শাহ সেখানে মিথ্যা কথা বলে গিয়েছেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
'মার্কে'র ওষুধে কোভিডের মোকাবিলা! কেন গেমচেঞ্জার 'মোলনুপিরাভির'