মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে মোহন ভগবত, কী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ আরএসএস প্রধানের
মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে মোহন ভগবত, কী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ আরএসএস প্রধানের
বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। এমনটাই নাকি বলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে কুরেশি-সহ পাঁচ মুসলিম বুদ্ধিজীবী গতমাসে ভাগবতের সঙ্গে প্রায় ৭৫ মিনিট বৈঠক করেন। পারস্পরিক উদ্বেগের দিকগুলি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন তুলেছিলেন ভাগবত
আরএসএস প্রধান ভাগবত প্রত্যেক মসজিদের নিচে একটি করে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। মূলত জ্ঞানব্যাপি মামলা নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন। এছাড়াও অন্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে এর প্রভাব নিয়ে ভাগবত বলেছিলেন আরএসএস হল বিজেপির আদর্শগত পরামর্শদাতা। এই ইস্যুতে তিনি অন্য কোনও আন্দোলনের পক্ষপাতী নন বলে জানিয়েছিলেন।
|
অগাস্টে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক
ভাগবতের
মন্তব্যের
পরে
অগাস্টে
তাঁর
সঙ্গে
বৈঠক
করে
৫
মুসলিম
বুদ্ধিজীবী।
সেই
দলে
ছিলেন
প্রাক্তন
মুখ্য
নির্বাচন
কমিশনার
এসওয়াই
কুরেশি।
এব্যাপারে
সংবাদ
মাধ্যমের
সঙ্গে
সাক্ষাৎকারের
সময়
তিনি
বলেন,
ভাগবত
তাদের
বলেছিলেন,
তিনি
বর্তমান
পরিস্থিতি
নিয়ে
চিন্তিত।
বৈষম্যের
পরিবেশে
তিনি
খুশি
নন
বলে
নাকি
জানিয়েছিলেন
ভাগবত।
সহযোগিতা
ও
সংহতির
মাধ্যমে
দেশ
এগিয়ে
যেতে
পারে
বলে
মন্তব্য
করেছিলেন
ভাগবত।
প্রাক্তন
মুখ্য
নির্বাচন
কমিশনার
এসওয়াই
কুরেশি
ছাড়াও
এই
দলে
যাঁরা
ছিলেন,
তাঁরা
হলেন,
দিল্লির
প্রাক্তন
লেফটেন্ট্যান্ট
গভর্নর
নজিব
জং,
আসিগড়
মুসলিম
বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রাক্তন
উপাচার্য
লেফটেন্ট্যান্ট
জেনারেল
জমিরউদ্দিন
শাহ,
প্রাক্তন
সাংসদ
শাহিদ
সিদ্দিকি
এবং
ব্যবসায়ী
সইদ
শেরওয়ানি।
ভাগবতের উদ্বেগ
তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম হল গোহত্যা। সেই সময় তাঁরা (এসওয়াই কুরেশি এবং অন্যরা) বলেছিলেন, এটি এখন সারা দেশেই কার্যত নিষিদ্ধ। মুসলিমরা আইন মেনে চলে। কেউ যদি তা লঙ্ঘন করে , তাহলে সেই ভুল করছে। এব্যাপারে শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়াও কাফির শব্দ নিয়ে আপত্তি করেছিলেন ভাগবত। এব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কুরেশি বলেছেন, এই শব্দের অর্থ আরবীতে অবিশ্বাসী। যেসব ব্যক্তি ইসলামে বিশ্বাস করেন, তাঁদেরকে মোমিন বলা হয়, আর যাঁরা অবিশ্বাসী তাদেরকে কাফির বলা হয়। তিনি জানিয়েছেন, এটি একটি নিরপেক্ষ শব্দ থাকলেও, তা এখন খারাপ শব্দে পরিণত হয়েছে।
মুসলমানদের অধিকাংশই ধর্মান্তরিত
কুরেশি বলেছেন, কিছু লোক মুসমিলদের জেহাদি এবং পাকিস্তানি বলে থাকেন। এই ধরনের লোকরা মুসলিমদের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে থাকে। তবে মুসলিমরাও যে ভারতীয় ভাগবত তা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুরেশি। তিনি আরএসএস প্রধানকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, সবার একই ডিএনএ এবং এখানকার অধিকাংশ মুসলিমই ধর্মান্তরিত।
কুরেশি-সহ অন্যরা ভাগবতের কথায় খুশি। এছাড়াও শিবলিঙ্গ নিয়ে ভাগবতের বক্তব্যকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। প্রথমে ৩০ মিনিট বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বেড়ে ৭৫ মিনিট হয়ে যায়।
মুখ্যসচিব-অর্থসচিবের বিরুদ্ধে কেন জারি নয় অবমাননার রুল? ডিএ মামলায় ব্যাখ্যা তলব