নেতাজির আদর্শেই ভারতকে নতুন দিশা দেখাবেন মোহন ভগবত: আশাবাদী চন্দ্র বসু
নেতাজিরর আদর্শ বজায় রেখে যদি মোহন ভাগবত তথা আরএসএস তাঁর জন্মদিন পালন করেন, তাহলে তাতে কোনও আপত্তি নেই চন্দ্র বসুর।
নেতাজির আদর্শ বজায় রেখে যদি মোহন ভাগবত তথা আরএসএস তাঁর জন্মদিন পালন করেন, তাহলে তাতে কোনও আপত্তি নেই চন্দ্র বসুর। আগামী সোমবার দেশ জুড়ে পালিত হবে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন। কলকাতার শহিদ মিনারে নেতাজির জন্ম জয়ন্তী পালন করবেন বলে জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
সেই উদ্যোগের বিরোধিতা না করলেও আপত্তি জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে অনীতা বসু পাফ। তাঁর দাবি, আরএসএসের সঙ্গে নেতাজির আদর্শগত মিল নেই। তবে নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু মনে করেন, একই আদর্শ বজায় থাকলে নেতাজী জয়ন্তী পালন করা যেতেই পারে।
এই প্রসঙ্গে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-কে চন্দ্র বসু বলেন, 'আজকের দিন পর্যন্ত উনি একমাত্র নেতা, যিনি সব ধর্মকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারতীয় বলে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এই যে আদর্শকে যদি মোহন ভাগবত সমর্থন করেন, তাহলে ওঁকে স্বাগত জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে উনি সেটা করবেন এবং নেতাজির আদর্শের ওপর ভিত্তি করে ভারতকে এক নতুন দিশা দেখাবেন।'
নেতাজি-কন্যার বক্তব্য, নেতাজি ছিলেন ভিন্ন আদর্শের মানুষ। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি উল্লেখ করেছেন, আরএসএস-এর আদর্শের সঙ্গে নেতাজির আদর্শের কোনও মিলই নেই। নেতাজি আরএসএসের ডানপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নেতাজি ধর্মনিপরেক্ষতায় বিশ্বাসী ছিলেন বলে উল্লেখ করে অনীতা দাবি করেছেন, বিজেপি বা আরএসএস সেই মনোভাবের নয়। তাই মোহন ভগবতের জন্মদিন পালনে সমর্থন নেই তাঁর।
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে চন্দ্র বসু বলেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ডান, বাম কোনও পন্থী ছিলেন না। আমি মনে করি উনি বাস্তববাদী ছিলেন। নেতাজি সম্পর্কে গবেষণা করে আমার যা ধারনা হয়েছে, উনি বাস্তবে বিশ্বাসী ছিলেন। উনি সাম্প্রদায়িকতা, বিচ্ছিন্নতাবাদ বা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার বিরোধী ছিলেন। তাই, কোনও দল যদি সাম্প্রদায়িকত্রা রাজনীতি করে, বিভাজনের রাজনীতি করে, তাহলে নেতাজি একেবারে তাঁর শত্রু।
উল্লেখ্য, এ বছর পালিত হবে নেতাজির ১২৬ তম জন্মজয়ন্তী। সেখানে মুখ্য বক্তা হিসেবে থাকবেন মোহন ভাগবত। নেতাজি-কন্যা আরএসএসের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সঙ্ঘের পক্ষ থেকে অজয় নন্দী বলেন, নেতাজি সঙ্ঘের সমালোচক ছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি কখনও। অনীতা চান, জন্মদিন পালন হোক, তবে নেতাজির মতবাদ যেন বজায় থাকে।