দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিই কি ‘অনুপ্রবেশকারী’! অসমে নাগরিক পঞ্জি প্রকাশে উঠছে ‘বিস্ময়’ প্রশ্ন
দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কি তাহলে ভারতীয় নাগরিক ছিলেন না? প্রশ্ন উঠে পড়েছে অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পরই।
দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কি তাহলে ভারতীয় নাগরিক ছিলেন না? প্রশ্ন উঠে পড়েছে অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পরই। এই তালিকায় নাম নেই ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের সদস্যদের। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন সরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে।
অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়ায় এখন আতঙ্কের প্রহর গুণছেন মানুষ। রাতারাতি দেশের নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছে এমন কিছু নাম, যা শুনলে চমকে উঠতে হয়। যেমন রয়েছে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবার, তেমনই রয়েছে ডেপুটি স্পিকার, প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের সামরিক বাহিনীতে কাজ করা অনেক নাম।
আর এই মুহূর্তে সবথেকে আলোচিত নাম হল ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিনের পরিবার। তাঁর ভাইয়ের একরামুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের কারও নাম আসেনি নাগরিক পঞ্জি তালিকায়। এই ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা বাস করছেন অসমের কামরূপ জেলার রঙ্গিয়াতে। কী করে তাঁদের নাম এল না নাগরিক পঞ্জিতে, তা-ই বিস্ময়ের। এই ঘটনায় তাজ্জব গোটা পরিবার, তাজ্জব সাধারণ মানুষও।
[আরও পড়ুন:অসমে ৪০ লক্ষের নাগরিকত্ব বাদের দায় মমতারও! এনআরসি কর্তৃপক্ষের দাবিতে চাঞ্চল্য]
মঙ্গলবার দিল্লিতে গিয়ে এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধু বিশপদের অনুষ্ঠানেই এই প্রসঙ্গ তুলে ক্ষান্ত হননি, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছেও বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাইপো জিয়াউদ্দিন আলি আহমেদ জানান, আমার পরিবারের কারও নাম নেই নাগরিক পঞ্জিতে। শুধু তিনি নন, অনেক এমন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মা-মেয়ের নাম এসেছে, অথচ বাবার নাম নেই নাগরিক পঞ্জিতে। একছার এমন ঘটনায় গোটা প্রক্রিয়াটা নিয়েই উঠে পড়েছে প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: মতুয়াদের অবরোধের জের! শিয়ালদহ মেন লাইনে ট্রেন বন্ধে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা]