বাড়তে পারে সাজার মেয়াদ, ভক্ত রঞ্জিত সিং হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত গুরমিত রাম রহিম সিং সহ ৬ জন
রঞ্জিত সিং হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত গুরমিত রাম রহিম সিং সহ ৬ জন
ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং সহ পাঁচজনকে ২০০২ সালে হওয়া রঞ্জিত সিং খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। প্রসঙ্গত, রঞ্জিত সিং ছিলেন ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমের ভক্ত এবং তাঁকে খুন করা হয়েছিল ২০০২ সালের ১০ জুলাই। ২০০৩ সালের ৩ ডিসেম্বর রঞ্জিত সিং খুনের ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেন সিবিআই। এই খুনের ঘটনা নিয়ে আদালতে আবেদন দায়ের করেছিলেন রঞ্জিত সিংয়ের ছেলে জগসীর সিং।
রঞ্জিত সিং খুনে দোষী সাব্যস্ত
চলতি সপ্তাহেই ওই খুনের মামলাকে অন্য কোনও সিবিআই আদালতে স্থানান্তর করার আবেদন খারিজ করে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট। পাঁচকুলা ছাড়া অন্য যে কোনও আদালতে ওই মামলাটি স্থানান্তর করার কথা বলা হয়েছিল আবেদনপত্রে। শুক্রবারই পাঁচকুলার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত গুরমিত রাম রহিম সিং ও আরও পাঁচজনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে। তবে দোষীদের শাস্তি এদিনই ঘোষণা করা হয়নি। আগামী ১২ অক্টোবর দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত।
২০ বছরের কারাদণ্ড
প্রসঙ্গত, গুরমিত রাম রহিম সিং তাঁর আশ্রমের দু'জন মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয় এবং এখন সে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করছে। পাঁচকুলার বিশেষ সিবিআই আদালতে ২০১৭ সালের অগাস্টে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এখানেই শেষ নয়, ২০১৯ সালে, গুরমিত রাম রহিম সিং ও আরও তিনজনকে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুন করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এই সাংবাদিক ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানের আশ্রমে মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন নিয়ে এক অজ্ঞাত পরিচয় চিঠি প্রকাশ করেছিলেন।
গ্রন্থ সাহেবের ‘বীর’ চুরিতে যুক্ত
গুরমিত রাম রহিমের কেচ্ছা এখানেই শেষ নয়। বুর্জ জওহর সিং ওয়ালা গুরুদ্বার থেকে গুরু গ্রন্থ সাহেবের একটি 'বীর' (কপি) চুরির সঙ্গে জড়িত একটি মামলায় নাম উঠে এসেছে গুরমিত রাম রহিমের। জুন মাসে জেলেতেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রাম রহিম। বিতর্কিত এই ধর্মগুরুকে গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর 'বাবা'র শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে সেখানে পৌঁছে যান রাম রহিমের 'পালিত কন্যা' হানিপ্রীতও।
রাম রহিমের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ
এই রাম রহিম সেই ধর্মগুরু, যাঁর নামে ভক্তদের না জানিয়ে ২০০০ সালে নির্বীজকরণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, ডেরার ৪০০ ভক্তেরই এক পরিণতি হয়। সে সময় এই মহান গুরু দাবি করেছিলেন, ঈশ্বরপ্রাপ্তির জন্য নির্বীজকরণই একমাত্র পথ। এরপরই আইনের চোখে পড়ে তাঁর গতিবিধি। সঙ্গে যুক্ত হয় ধর্ষণের অভিযোগও। নিজেকে আর বাঁচাতে পারেননি তিনি। ২০ বছরের জন্য কারাদণ্ড হয়।