হানিপ্রীত তার বাবা রাম রহিমের সঙ্গে দেখা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে
হানিপ্রীত তার বাবা তথা রাম রহিমের সঙ্গে দেখা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে
ডেরা
সচ্চা
সৌদা
প্রধান
গুরমিত
রাম
রহিমের
দত্তক
কন্যা
হানিপ্রীত
দেখা
করতে
চায়
জেলে
বন্দী
তাঁর
বাবার
সঙ্গে।
গত
দু’দিনে
হানিপ্রীত
প্রায়
তিন–চারবার
দুঃসাহসিক
চেষ্টা
করেছে
রাম
রহিমের
সঙ্গে
দেখা
করার
জন্য।
কিন্তু
তাঁর
সেই
চেষ্টা
ব্যর্থ
হয়েছে।
হানিপ্রীত দেখা করতে ইচ্ছুক রাম রহিমের সঙ্গে
হানিপ্রীতের উকিল তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এপি সিং বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবারই বলেন, 'জেলের বাইরে রয়েছেন হানিপ্রীত। এখন তাকে কারাগারের ভেতরে থাকা কারও সঙ্গে দেখা করতে দিতে বাধা দেওয়া উচিত নয়। রাম রহিমের সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষ দেখা করতে না দেওয়াতে হানিপ্রীতের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করছে। হরিয়ানার ডিজিপি থেকে শুরু করে আইনি পথে তিনি গিয়েছেন, শুধুমাত্র রাম রহিমের সঙ্গে দেখা করার জন্য।’ ২০১৭ সালের আগস্টে পঞ্চকুলাতে হিংসাত্মক ঘটনার পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে নাম উঠে এসেছিল হানিপ্রীতের। ওইদিন ডেরা প্রধান রাম রহিমকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। রাম রহিম ও হানিপ্রীতের শেষ দেখা হয় যেদিন তাঁদের দু’জনকে আদালত থেকে হেলিকপ্টারে করে জেলে নিয়ে আসা হয়েছিল।
হানিপ্রীতের কাহিনী
হানিপ্রীত ওরফে টপ্রিয়াঙ্কা তানেজাকে এ বছরের ৬ নভেম্বর আম্বালা জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে পাঁচকুলা আদালত থেকে জামিন পায়। জামিনের পরই হানিপ্রীত সির্সার ডেরা সচ্চা সৌদাতে যায় এবং তারপর থেকেই সে তার বাবার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে যে হানিপ্রীত বলেছে, 'সে শুক্রবার ও সোমবার রোহতক জেলে গিয়েছিল। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ তারে ডেরা প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি।’ হানিপ্রীত হরিয়ানার ডিজিপিকে চিঠি দিয়ে জেলে রাম রহিমের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছে। যদিও ডিজিপির দফতর থেকে নিশ্চিত করে জানানো হয়নি যে তারা এ ধরনের চিঠি আদৌ পেয়েছে কিনা। তবে তার আইনজীবী এ ব্যাপারটি নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে সে ডিজিপিকে চিঠি দিয়েছে এবং কেন তাকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে। দরকার পড়লে হানিপ্রীত আদালতের দ্বারস্থ হবে।