ব্যক্তি সাভারকারের বিরোধী নয় কংগ্রেস, বললেন মনমোহন
মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগে সাভারকার নিয়ে বিতর্ক চলছেই। গতকাল মুম্বইতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে এই বিষয়ে বিজেপির সমালোচনা করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং।
মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগে সাভারকার নিয়ে বিতর্ক চলছেই। গতকাল মুম্বইতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে এই বিষয়ে বিজেপির সমালোচনা করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং। তবে তিনি জানান, ব্যক্তি সাভারকার নয়, বরং তাঁর মতবাদের বিরোধী কংগ্রেস।
নির্বাচনের মুখে সাভারকার বিতর্ক
আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের জন্য় সম্প্রতী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। ইস্তেহারে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে তারা সরকার গঠন করলে বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে মরণোত্তর ভারত রত্ন দেওয়ার আবেদন জানাবে কেন্দ্রকে। সাভারকারকে নিয়ে করা এই প্রতিশ্রুতির বিরোধিতা করে সমালোচনা ঝড় তুলেছে বিরোধীরা। দুই দিন আগেই কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি নাগপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছিলেন এই নিয়ে । তিনি বলেন, "সাভারকরকে নয়, বরং নাথুরাম গডসেকে ভারত রত্ন দেওয়া হোক।"
মনমোহনের বক্তব্য
গতকাল মনমোহন বলেন, "ব্যক্তি সাভারকারকে নিয়ে আমাদের (কংগ্রেস) কোনও অসুবিধা নেই। আপনাদের মনে থাকবে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইন্দিরা গান্ধী সাভারকারের নামাঙ্কিত স্টাম্প চালু করেছিলেন। তবে আমরা সাভারকারের প্রচারিত হিন্দুত্ববাদী মতবাদের বিরোধী।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "কমিটির কাছে নাম প্রস্তাবিত হবলে কমিটি এই বিষয়ে বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।"
বিজেপিকে কংগ্রেসের তোপ
এর আগে এই বিষয়ে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি। তিনি কটাক্ষের শুরে বলেছিলেন, এরপর হয়ত ভারতরত্ন প্রাপকদের নামের মধ্যে নাথুরামের নামও দেখতে পাবে ভারতবাসী। তিনি বলেন, "সভরকরের ইতিহাস সবার জানা আছে। সভরকরের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তবে তথ্য প্রমাণের অভাবেই তাকে মুক্ত করা হয়। আজ এই সরকার বলছে যে সেরকম একটি মানুষকে তারা ভারত রত্নে ভূষিত করবে। আমার আশঙ্কা, এরপর আমরা দেখতে পাব যে নাথুরাম গডসেকে ভারত রত্ন দেওয়া হচ্ছে।"
যেকোনও মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির
কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্র নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করে শাসক দল বিজেপি। ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপি কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। বিজেপির তরফে নির্বাচনী ইস্তেহারকে সংকল্প পাত্র বলে বর্ণনা করা হয়। বিজেপির ইস্তেহার দাবি করে বলা হয়, জ্যোতিবা ফুলে ও তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীবাই ফুলে এবং বীর সাভারকারকে ভারতরত্ন দিতে হবে। ভারতরত্ন ছাড়াও ইস্তেহারে এক কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তেহারে।