সবটাই 'scripted Stunt'! আর কত নীচে নামবেন প্রধানমন্ত্রী, পঞ্জাব সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা। পঞ্জাবের ফ্লাইওভারে ২০ মিনিট ধরে আটকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। আর তা নিয়ে সরগরম দেশের রাজনীতি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজপথে বিজেপি। শীর্ষ নেতৃত্বের
প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা। পঞ্জাবের ফ্লাইওভারে ২০ মিনিট ধরে আটকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। আর তা নিয়ে সরগরম দেশের রাজনীতি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজপথে বিজেপি। শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, একেবারে ষড়যন্ত্র করে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁদের পালটা দাবি, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনও গলদ ছিল না। বরং নজর ঘোরাতেই নাকি এই নাটক বলেও দাবি কংগ্রেসের। আর তা নিয়ে পঞ্জাব ভোটের আগে চড়ছে রাজনৈতিক বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের রেশ পড়ল এবার ছত্তিশগড়েও।
মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলার দাবি, পঞ্জাব সরকারকে হেনস্তা করতেই এহেন ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর কনভয় একাধিকবার উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির জ্যামে পড়েছে। সে রাজ্যের নির্বাচন একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। মানুষের সহানুভুতি প্রয়োজন বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেই কারনেই এমন প্রাণের সংশয় তত্ত্ব খারা করা হচ্ছে বলেও বিস্ফোরক দাবি তাঁর। ক্ষমতার লোভে আর কত নীচে নামবেন প্রধানমন্ত্রী! তোপ ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর।
সম্প্রতি সে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে ভুপেশ বাঘেলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুরো দেশের। তা সে যে কোনও রাজনৈতিক দলের হতে পারে। তাঁর সুরক্ষায় কোথায় খামতি থাকা উচিৎ নয়। তবে পঞ্জাব তাঁর সুরক্ষায় সবরকম ব্যবস্থা করেছিল বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
সরকারকে এয়ারপোর্ট, হেলিপ্যাড এবং আয়োজন স্থলের বিষয়ে জানানো হয়েছিল। আর সেদিকে তাকিয়েই পঞ্জাব পুলিশের ২০ জন আইপিএস আধিকারিক এবং ১০ হাজার জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল বলেও দাবি তাঁর। কিন্তু বাঘেলার দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতর ভাতিন্ডা থেকে ফিরোজপুরে সড়কপথে যাওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে অনেক পরে জানানো হয়। এই অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় রাস্তা ঘিরে ফেলে মোটেই সম্ভব নয় বলেও চাঞ্চল্যকর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
এই ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি তখন মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবি ঘিরে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশের রাজনীতিতে। যদিও এই বিষয়টি এত সহজে ছেড়ে দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঘটনার আসল সত্য খুঁজতে ইতিমধ্যে তিন সদস্যের একটি কমিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার প্রধানমন্ত্রী কনভয় থেমে গিয়েছিল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (ক্রান্তিকারী) অবরোধের কারণে। সংগঠনটি একটি অতিবাম সংগঠন। তারা ৩১ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসলে, সংগঠনের জোর যেখানে আছে সেখানে বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেই মতো পিয়ারানা গ্রামের কাছে জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (ক্রান্তিকারী) কর্মী-সমর্থকরা।