প্রতিপক্ষের জোড়া আত্মঘাতী গোলে জয়ের মুখ দেখল লিভারপুল, রিয়ালের জার্সিতে অপ্রতিরোধ্য বেঞ্জিমা
প্রতিপক্ষের জোড়া আত্মঘাতী গোলে জয়ের মুখ দেখল লিভারপুল, রিয়ালের জার্সিতে অপ্রতিরোধ্য বেঞ্জিমা
ঘরের মাঠে জয় পেল লিভারপুল কিন্তু তাদের এই জয় তৃপ্ত করতে পারল না সমর্থকদের। লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে শনিবার গভীর রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মহম্মদ সালাহের দল। তারকা সমৃদ্ধ লিভারপুল ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে।
জাম্বিয়ার ফুটবলার প্যাটসন ডাকার পাস থেকে ম্যাচের শুরুতেই ৪ মিনিটের মাথায় কিরনান ডিউসবারি - হল-এর করা গোলে এগিয়ে যায় লেস্টার সিটি এফসি। প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার ফলে অ্যাওয়ে ম্যাচে লেস্টার সিটি চেপে ধরার চেষ্টা করে লিভারপুলকে। কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা খুব বেশি সাফল্য পায়নি। ম্যাচের ফেরায় মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। কিন্তু কোনও ভাবেই গোলের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিল না। কিন্তু লিভারপুলের এই ব্যর্থতাই ঢেকে দেন লেস্টার সিটির ডিফেন্ডার ওয়াউট ফায়েস। প্রথমার্ধেই দু'টি আত্মঘাতী গোল করেন লেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডার। ৩৮ মিনিটে প্রথম আত্মঘাতী গোলটি করেন ফায়েস। ৪৫ মিনিটে দ্বিতীয় আত্মঘাতী গোলটি করেন ৪৫ মিনিটে।
দ্বিতীয়ার্ধে কোনও দলই গোলের সন্ধান পায়নি। ৫৭ শতাংশ বল পজিশন এই ম্যাচে ছিল লিভারপুলের দখলে। সারা ম্যাচে ৫৮৮টি পাস খেলেন লিভারপুল যার মধ্যে ৮৪ শতাংশ পাস ছিল সঠিক। সারা ম্যাচে ২১টি শট নিলেন গোলের মধ্যে ছিল মাত্র ৫টি।
অন্য দিকে, লা লিগার ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-০ গোলে পারিজত করে ভালাদোলিদকে। ম্যাচের দুইটি গোলই আসে শেষ ১০ মিনিটে। ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে করিম বেঞ্জিমা এগিয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদকে। ৮২ মিনিটে সার্জিও লিয়ন বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় করিম বেঞ্জিমা। লিয়নকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ৮৯ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন করিম বেঞ্জিমা। সারা ম্যাচে ১৯টি শট নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ যার মধ্যে অন টার্গেট ছিল ৭টি। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হলেও ভালোদোলিদও ১৪টি শট নেয় এবং এর মধ্যে অন টার্গেট ছিল ৪টি। এই ম্যাচে ৬২ শতাংশ বলের পজিশন ছিল রিয়ালের দখলে।