কেকেআরের জাহাজ ডোবার আসল কারণ কী? কামিন্স নির্ভরতায় নাইটদের বিকল্প পরিকল্পনা কী হতে পারে
কেকেআরের দুর্দশা! জলে ১৫.৫ কোটি, একা কামিন্সে ভরসা করেই ডুবছে জাহাজ, বিকল্প ভাবনা কী হতে পারে
আইপিএল ২০২০তে বোলিং দুর্দশার কারণে লড়াই থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে কেকেআর। দলের নির্বিষ বোলিং নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। ১৫.৫ কোটি মূল্য কেনা পেসার কামিন্স আইপিএল ২০২০তে চূড়ান্ত ব্যর্থ। কামিন্সের চেয়ে কম বয়সী জসপ্রীত বুমরাহ, আনরিখ নর্কিয়া, কাসিগো রাবাদারা যেখানে পরিকল্পনা করে টি-২০ ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই নিয়ন্ত্রণ বোলিং করছেন, সেখানেই কামিন্স প্রতি ম্যাচেই উইকেটহীন। মুম্বই ম্যাচে ব্যাটে রান পেলেও তাঁর থেকে বোলিং দেখার অপেক্ষায় ফ্যানেরা। যে বোলিংয়ের উপর ভর করে ম্যাচ জেতার কথা ছিল নাইট রাইডার্সের।
কামিন্সকে কী বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন
কেকেআরে নতুন অধিনায়ক এখন মর্গ্যান। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ দিয়েছেন মর্গ্যান। নাইট রাইডার্সকে জয়ের সরণীতে আনতে এবার কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে পারেন ইয়ন। প্রয়োজনে কামিন্সকে বিশ্রামে পাঠাতে পারেন নাইট অধিনায়ক। আইপিএলে ৮ ম্যাচে ২টি বাদ দিতে এখনও কোনও প্রভাব ফেলতে পারছেন না কামিন্স। ব্যাটে রান এলেও তাঁর প্রধান কাজ বোলিং। ১৫.৫ কোটির বেশি মূল্যের স্ট্রাইট বোলার উইকেট না পাওয়ায় প্রতি ম্যাচেই লড়াই থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কলকাতা।
নির্বিষ বোলিংয়ে কামিন্সের বিকল্প কে
নাইটদের এই নির্বিষ বোলিংয়ে কামিন্সের বিকল্প হয়ে দলে সুযোগ পেতে পারেন লকি ফার্গুসন। আইপিএলের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত ফার্গুসন ৯টি ম্যাচ খেলেছেন। সংগ্রহ ৫ উইকেট। সেরা বোলিং ৭ রানে ২ উইকেট। এবছর কামিন্সের মতো ভারী নাম দলে এসে ঢুকে পরের পর ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যর্থ হলেও লকিকে ব্যবহার করেনি নাইটরা।
কেন দ্রুত ফেরানো হচ্ছে না নারিনকে
দল যখন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন নারিনকে কেন দলে দ্রুত ফেরানো হচ্ছে না সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বলে দাপট দেখাতে না পারলে এই নারিন দায়িত্ব নিয়ে পাঞ্জাব ম্যাচে ২ রানে জয় এনে দিয়েছিলেন। ফলে তাঁকে কত তাড়াতাড়ি কেকেআর দলে পেতে পারে, তার উপর নাইটদের জয়ের চাকা ঘোরার সম্ভাবনা নির্ভর করছে।
আইপিএল ২০২০তে নাইটদের বোলিংয়ের লিডারশিপের অভাব
কামিন্সকে এনে তাঁকেই বোলিংয়ে লিডারশিপ দিতে চেয়েছিল কলকাতা। কিন্তু বল হাতে কামিন্স চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়াতে তিনি নিজেই আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন। এখানেই দিল্লি-মুম্বইয়ের সঙ্গে পার্থক্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে। দিল্লি রাবাদা-নর্কিয়া জুটি যেখানে বোলিংয়ের লিডারশিপ গ্রুপে রয়েছেন, মুম্বইয়ে বোল্ট-প্যাটিনসন ও বুমরাহরা বাড়তি দায়িত্ব নিচ্ছেন যেখানে কামিন্স ব্যর্থ হওয়ায় মাভি-নাগরকোটির মতো তরুণদের পথ দেখানোরও কেউ নেই। ফলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ উইকেট পেলেও তাঁকে পথ দেখানোর লোক নেই। একা কামিন্সে ভরসা করেই কেকেআরের জাহাজ ডুবতে বসেছে বলা যেতে পারে।