(ছবি) মোহময়ী কাশ্মীরের অসাধারণ সুন্দর কয়েকটি লেক একঝলকে
ভূপৃষ্ঠে স্বর্গ বলে যদি কিছু থেকে থাকে তা রয়েছে একমাত্র কাশ্মীর উপত্যকায়। এর সঙ্গে বাদবাকি আর কিছুর তুলনা হয় না। [হিমালয়ের কোলে সেরা লেকগুলি একঝলকে]
দেশের সব প্রান্ত থেকে, এমনকী বলা ভালো বিশ্বের সব জায়গা থেকে বছরভর পর্যটকেরা ছুটে আসেন মোহময়ী কাশ্মীর উপত্যকার রূপকে একঝলক দেখতে। [কেদার ধাম : ঈশ্বরের কোলে প্রকৃতির অপরূপ শোভা]
এখানকার একাধিক জায়গা এমন রয়েছে যেখানে গেলে ফিরে আসতে মন চাইবে না। হিমালয়, প্রকৃতির খামখেয়ালি রূপ, পাহাড়ি এলাকা, সবমিলিয়ে কাশ্মীর অনন্য, অদ্বিতীয়। [একঝলকে দেখে নিন ধর্মশালার অপূর্ব প্রাকৃতিক রূপ]
নিচের স্লাইডে দেখে নিন, উপত্যকার কয়েকটি চোখধাঁধানো লেকের ছবি ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য। [ছবিতে দেখে নিন লাদাখের স্বর্গীয় রূপ]
ডাল লেক
কাশ্মীরের সবচেয়ে পরিচিত ও দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক এই ডাল লেক। শ্রীনগরে অবস্থিত লেকটি হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ও শিকারা ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত। এছাড়া এই লেকে সাঁতার, কেয়াকিং, ক্যানোয়িংয়ের মতো অন্যান্য কাজও করতে পারেন পর্যটকেরা।
প্যানগং লেক
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৩৫০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত প্যানগং লেকটি 'প্যানগং সো' নামেও পরিচিত। এখানে বহু দেশি-বিদেশি পাখির আনাগোনা লেগেই থাকে। তার টানেই পর্যটকেরা ছুটে আসেন এখানে। সঙ্গে রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। শীতকালে এই লেক একেবারে জমে বরফ হয়ে যায়।
শেষনাগ লেক
পহেলগাঁও থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শেষনাগ লেক জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। হিন্দু পুরান অনুযায়ী এই লেকের নামকরণ করা হয়েছে। প্রায় জুন মাস পর্যন্ত এই এলাকা বরফে ঢাকা থাকে। অমরনাথে যাত্রা করা পর্যটকেরা এখানে একবার ঘুরে আসতে পারেন।
ওয়ালুর লেক
হারামুক পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত এই লেকটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় 'ফ্রেশ লেক'গুলির মধ্যে অন্যতম। ঝিলম নদীর জলই এই লেকের জলের প্রধান উৎস।
তুলিয়ান লেক
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই লেকটি আরু থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই লেকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই এই লেকের জল বরফ হয়ে থাকে।