(ছবি) কেদার ধাম : ঈশ্বরের কোলে প্রকৃতির অপরূপ শোভা
একটু বয়স হলেই অনেকেই 'কেদার-বদ্রী' যাবেন বলে মনস্থির করেন। বলা হয়, ওখানে বাস স্বয়ং ঈশ্বরের। তবে এখন আট থেকে আশি, সকলেই কেদারনাথ ধাম, বদ্রীনাথ ধামে ঢুঁ মেরে আসতে চান।
প্রকৃতির অমন অপরূপ শোভা, নির্মল বাতাস, মাথার উপরে নীল আকাশ, বরফে ঢাকা পাহাড়, সঙ্গে ঐশ্বরিক এক আবহ। সবমিলিয়ে এমন জায়গা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত এই কেদার ধাম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৮৪ মিটার উপরে গারওয়াল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই জায়গা। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাছে এই স্থানটি অত্যন্ত পবিত্র। গরমের সময়ে বহু মানুষ দেবাদিদেব মহাদেবের দর্শনের জন্য এখানে আসেন। নিচের স্লাইডে দেখে নিন কেদারের অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কয়েকঝলক।
অগস্ত্য মুনি
মন্দাকিনি নদীর তীরে অবস্থিত এই জায়গাটি অগস্ত্য মুনির আবাসস্থল রূপে পরিচিত। এখানে 'অগস্ত্যেশ্বর মহাদেব' নামে একটি শিব মন্দিরও রয়েছে। এছাড়া পাথরে খোদাই করা নানা হিন্দু দেব-দেবীর অবয়ব রয়েছে।
ভৈরব নাথ মন্দির
ভগবান ভৈরবের নামে এখানে একটি মন্দির রয়েছে। বলা হয়, এখানে শিবরাত্রির দিন বহু আত্মা এসে জড়ো হয়। জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা, 'ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি'-র শুটিং এখানে হয়েছিল।
চোরাভারি তাল
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৯০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই জলাধারটি হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত। এটি গান্ধী সরোবর নামেও পরিচিত। এখানে ট্রেকিংয়ের মজাই আলাদা।
গৌরী কুণ্ড
কেদারনাথের এই জায়গাটিতে রয়েছে ট্রেকিং বেস। ছবিতে দেখানো জলাধারটি একটি উষ্ণ প্রস্রবন যার নাম 'গৌরী কুণ্ড'। বলা হয়, এই জলাধারের জলে স্নান করলে সব পাপ ধুয়ে যায়।
গুপ্তকাশী
কেদারনাথের অন্যতম জনপ্রিয় এই জায়গায় বহু পুরনো বিশ্বনাথ মন্দির, মনিকার্নিক কুণ্ড, অর্ধনারীশ্বর মন্দির রয়েছে।
কেদার পর্বত
কেদার ধামের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এটি। পরপর তিনটি চূড়া রয়েছে। বলা হয়, এখানেই বাস দেবাদিদেব মহাদেবের।
কেদারনাথ মন্দির
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৮৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই মন্দিরটিই দর্শনার্থীদের কাছে মূল আকর্ষণ। বলা হয়, এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে হাজার বছর পূর্বে।
মন্দাকিনি নদী
অলোকানন্দা নদীর উপনদী মন্দাকিনি নদী সোনপ্রয়াগে গিয়ে বাসুকিগন্ধা নদীতে মিশেছে। এছাড়া এই নদী রুদ্রপ্রয়াগে অলোকানন্দার সঙ্গে মিশেছে ও দেবপ্রয়াগে গিয়ে ভাগিরথী নদীর সঙ্গে মিশেছে। সবকটি জায়গাই অপরূপ সুন্দর।
বাসুকি তাল
এই জায়গাটি শোভা একেবারে স্বর্গীয়। দর্শনাথীদের ভিড় এখানে লেগেই থাকে। জুন থেকে অক্টোবরের মাঝে গেলে সবচেয়ে ভালো আবহাওয়া পাওয়া যায়।
কেদার যেতে হলে
বিমানপথে এখানে পৌঁছতে হলে দেরাদুন এয়ারপোর্টে নামতে হবে। সেখান থেকে কেদারের দূরত্ব ২৩৯ কিলোমিটার।
ট্রেনে যেতে হলে ঋষিকেশে নামতে হবে। সেখান থেকে কেদারের দূরত্ব ২২১ কিলোমিটার।