শুভেন্দু পেলেন ‘নব পরিচয়’! একুশের নির্বাচনের আগে জল্পনা যেন কেটেও কাটছে না
শুভেন্দু পেলেন ‘নব পরিচয়’! একুশের নির্বাচনের আগে জল্পনা যেন কেটেও কাটছে না
সম্প্রতি সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর ফের শুভেন্দুর অনুগামীরা পোস্টার-হোর্ডিংয়ে যে বার্তা দিলেন তাতে ফের তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সর্বদাই জল্পনা জিইয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্য প্রশাসনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরও জল্পনা থামল না।
রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা চলছে। শুভেন্দু দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি করে চলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দল ও সরকারের কোনও কর্মসূচিতে না গিয়ে তিনি পৃথকভাবে পথ চলছে বলেও কথা উঠেছে। তবে সম্প্রতি তিনি গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের এক অনুষ্ঠানে। তারপরও জল্পনা থামল না।
শুভেন্দু নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য, বাংলার হৃদস্পন্দন ও জনসেবকও
শুভেন্দু রাজ্য সরকারের ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর নেতাইয়ে পোস্টার-হোর্ডিং লাগানো হল তাঁর নামে। সেখানে কোথাও তাঁকে মন্ত্রী বা তৃণমলের নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়নি। নেতাইয়ের সামাজিক কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারী ফ্লেক্সে ছযলাপ হয়ে গিয়েছে। সেখানে তিনি পরিচিত হয়েছেন নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য, বাংলার হৃদস্পন্দন বা জনসেবক নামে।
নেতাইয়ে শুভেন্দুর ‘জনসেবক’ তকমাই সবথেকে হিট
নেতাইয়ে অনুষ্ঠানের আগে শুভেন্দু অধিকারীর ‘জনসেবক' তকমাই সবথেকে হিট হয়েছে। মন্ত্রী-তৃণমূল বিধায়কের থেকেও জনসেবক পরিচয়টা নিতে পছন্দ করছেন তৃণমূল অনুগামীরা। সেইমতো তাঁর অনুগামীরা প্রস্তুত নেতাইয়ে তাঁকে স্বাগত জানাতে। শুভেন্দু অধিকারীও তাঁর এই নতুন পরিচয়ে তৃপ্ত। তাই তিনি অনুগামীদেরও বাধা দিচ্ছেন না তাঁর এই জনসংযোগের ব্যবস্থাপনায়।
সমালোচকদের মুখের উপর জবাব, তারপরও পৃথক জনসংযোগ কেন
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বৃদ্ধি নিয়ে বিগত তিন-চারমাস চর্চা চলছে। এমনও অভিযোগ উঠছিল, বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগসাজোশ আছে। বারবারই তা খণ্ডন করেছেন শুভেন্দু। এবার দীর্ঘদিন তিনি তৃণমূলের কোনও অনুষ্ঠানে বা সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছিলেন না। তারপর সম্প্রতি সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে সমালোচকদের মুখের উপর জবাব দেন।
শুভেন্দুর সরকারি অনুষ্ঠানে দিলেও কেটেও কাটছে না জল্পনা
তবে শুভেন্দুর সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরেই ফের বিতর্ক তাঁর নেতাইয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে। সেখানে আবার তিনি নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য, বাংলার হৃদস্পন্দন বা জনসেবক উপাধিতে ভূষিত হচ্ছেন। তাই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে শুভেন্দু সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও কেটেও কাটছে না জল্পনা।
দলীয় সংগঠনে রদবদলের পর শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা
সম্প্রতি দলীয় সংগঠনে রদবদলের পর শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব খানিক খর্ব হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উপর ভরসা করে বেশ কয়েকটি জেলার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু নতুন রদবদলে পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়ায় শুভেন্দুর সেই দায়িত্ব কার্যত শেষ হয়ে যায়। তার বদলে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। জেলা থেকেই কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়।
শুধু অভিষেকের গুরুত্ব বাড়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অনুগামীরা
শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি ছিল, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর শুভেন্দুই প্রকৃত অর্থে জননেতা। তাঁকে দল আরও বড় কোনও দায়িত্ব দিক। রাজ্য সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা শুভেন্দু অধিকারীরই আছে। অথচ দল তাঁকে সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে না। উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোরের আগমনের পর নতুন রদবদলে শুধু অভিষেকের গুরুত্বই বেড়েছিল।
করোনা ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি! নির্বাচনী ইস্তেহার বড়সড় প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের