শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়কে টার্গেট করতেই কুন্দুজ প্রদেশের মসজিদকে বেছে নেয় জঙ্গিরা! চাঞ্চল্যকর তথ্য
আফগানিস্তানের মসজিদে ব্যবহৃত বিস্ফোরক ছিল খুবই শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান তালিবান পুলিশের। শুধু তাই নয়, আফগান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণে ১০০ জনেরও বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিস
আফগানিস্তানের মসজিদে ব্যবহৃত বিস্ফোরক ছিল খুবই শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান তালিবান পুলিশের। শুধু তাই নয়, আফগান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণে ১০০ জনেরও বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে জখম বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।
ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা কুন্দুজ প্রদেশের পুলিশ কর্তা মোহম্মদ ওবিদা জানিয়েছেন, শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়কে টার্গেট করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলাতে বেশির ভাগ ওই সম্পদায়ের মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা।
তবে এখনও পর্যন্ত ভয়ঙ্কর এই হামলাতে কোনও জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তানে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলার ঘটনার পিছণে যে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা রয়েছে সেই সংক্রান্ত একাধিক উদাহারন রয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। ফলে এই ঘটনার পিছণে ইসলামিক স্টেট রয়েছে বলে অনুমান।
আফগানিস্তানে তালিবানের শাসক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এটাই সবথেকে বড় জঙ্গি হামলা। মার্কিন সেনা বাহিনী সরে যাওয়ার পর থেকেই ইসলামিক স্টেট নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে আফগানিস্তানের মাটিতে। যা সব দেশের কাছেই চিন্তার কারণ। তালিবানের তরফে জানানো হচ্ছে যে, জঙ্গিরা ভেবে চিন্তে শুক্রবার দিনকেই বেছে নিয়েছে।
কারণ কুন্দুজ প্রদেশের ওই মসজিদটি আসলে শিয়া মসজিদ বলেই পরিচিত। ওই অঞ্চলের বিশাল সংখ্যায় শিয়ারা শুক্রবার মসজিদে চলা বিশেষ প্রার্থনাতে অংশ নেয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সেই সময়ে মসজিদে বহু মানুষের ভিড় ছিল। কিন্তু হঠাত করেই প্রবল বিস্ফরনের শব্দ শোনা যায়। কালো ধোয়াতে ঢেকে যায় চার পাশ। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারপাশে শুধু রক্ত আর রক্ত পড়ে থাকতে দেখলাম। জানাচ্ছেন ওই ব্যক্তি।
ঘটনার পরেই মুহূর্তে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিইয়াতে আসতে শুরু করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে শক্তিশালী ওই বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে মসজিদ। মসজিদ চত্বরে বহু মৃতদেহ ছড়ানো ছেটানো অবস্থাতে রয়েছে। একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসছে ঘটনাস্থলে। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। চারপাশ জুড়ে যেন চ্ছোটাছুটি-ব্যস্ততা।
তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার দুপুরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জঙ্গিরা এই আত্মঘাতী হামলা চালাতে মসজিদকে বেছে নেয়। শুধু তাই নয়, প্রার্থনার সময়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে স্পেশাল তদন্তকারী আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালিবানদের মুখমাত্র। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও তালিবানদের তরফে জানানো হয়েছে।