সোমালিয়ায় মার্কিন বাহিনীর গোপন অপারেশনে খতম আইএস শীর্ষ নেতা সহ ১০ জঙ্গি
ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় জয় আমেরিকার। একেবারে শীর্ষ নেতাকে খতম করল মার্কিন বাহিনী।
ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের! গুহায় লুকিয়ে থাকা ইসলামিক স্টেটের শীর্ষ নেতাকে খতম করল এই ফোর্স। সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, আফ্রিকার নর্দান সোমালিয়ার প্রত্যন্ত একটি এলাকাতে মার্কিন স্পেশাল ফোর্স বিশেষ এক অভিযান চালায়। আর তাতে আইএস নেতা বিলাল আল সুদানির মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করছে পেন্টাগন।
একই সঙ্গে তার আরও ১০ সাগরেদকেও মার্কিন বাহিনী খতম করেছে বলেও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বিলাল আল সুদানি'র মতো নেতাকে খতম করা আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সাফল্য হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
বড় ধাক্কা খাবে ইসলামিক স্টেট
মার্কিন প্রশাসন বলছেন বিলাল আল সুদানি আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়ায় এসলামিক স্টেটের বিস্তার নিয়ে কাজ করছিলেন। এমনকি অন্যতম এই জঙ্গি সংগঠনকে অর্থের জোগান দিতেও কাজ করত বলে দাবি করা হচ্ছে। ফলে আইএস এই জঙ্গি নেতার মৃত্যুর এই সমস্ত এলাকাতে আইএসের বিস্তারে বড় ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জঙ্গি সংগঠনের ফান্ডেও ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন গোয়েন্দাদের নজরে ছিল বিলাল আল সুদানি।
মার্কিন রক্ষামন্ত্রী Lloyd Austin এক বার্তায় জানিয়েছেন, এই অপারেশন আমেরিকা এবং তার সঙ্গে থাকা দেশগুলিকে সুরক্ষিত রাখতেই চালানো হয়েছে। তবে এই বার্তা দেওয়ার পরেই আমেরিকা জুড়ে অ্যালার্ট জারি রয়েছে। জানা যাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ কার্যত মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইডেনের তরফে সবুজ সঙ্কেত মিলতেই এই অভিযান বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন গোয়েন্দাদের নজরে ছিল বিলাল আল সুদানি। আফ্রিকার পাশাপাশি আফগানিস্তানেও আইএসের সংগঠন বিস্তার কাজ কাজ সে করছিল বলেও মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট খবর ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও এক আইএস অপারেটিভ আব্দুল হুসেনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে বলেও জানান বাইডেনের সরকারের ওই মন্ত্রী। এমনকি তাঁরা আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যুবকদের শিবির খুলে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও জানা যায়। আর এরপরেই এই অভিযান বলে দাবি করা হয়েছে।
আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সাফল্য
অন্যদিকে গত নভেম্বর মাসে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সাফল্য পাওয়া যায়। আইএসের সর্বোচ্চ নেতা আবু আল-হাসান আল-হাশেমি আল-কুরেশির মৃত্যু হয়। এরপর আইএসের নতুন নেতা হিসাবে ঘোষণা করা হয় আবু আল-হুসেন আল-হুসেইনি আল-কুরেশিকে। জানা যাচ্ছে, মার্কিন বাহিনীর হাতে খতম হওয়া বিলাল আল সুদানি নয়া আইএস নেতার অন্যরতম ঘনিষ্ঠ ছিল। শুধু তাই নয়, অনেক সময়েই তাঁর নির্দেশেই সে কাজ করত বলেও জানা যায়।