দুই দুঁদে জঙ্গিনেতার মৃত্যুর পরও জারি রয়েছে আইএস-এর হামলা! চিন্তার ভাঁজ আমেরিকার কপালে
মালির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি সামরিক ফাঁড়িতে শুক্রবার সন্ত্রাসী হামলায় ৫৩ জন সেনাকে হত্যার দায় স্বীকার করেল ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
আইএস জঙ্গি প্রধান আবু বক্কর আল-বাগদাদির মৃত্য়ু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। এরপর সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু আল হাসান মুজাহিরের মৃত্যুর কথাও জানায় আমেরিকা। তবে এরপরও জঙ্গি হামলা করা থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না ইসলামিক স্টেটকে।
৫৩ জন সেনাকে হত্যার দায় স্বীকার
মালির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি সামরিক ফাঁড়িতে শুক্রবার সন্ত্রাসী হামলায় ৫৩ জন সেনাকে হত্যার দায় স্বীকার করেল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইসলামি জঙ্গিদের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় মালির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। আইএস তাদের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে এক বিবৃতিতে জানায়, খালিফতের যোদ্ধারা এই সামরিক পোস্টে হামলা চালিয়েছে।
মালির সেনাবাহিনীর বক্তব্য
মালির সেনাবাহিনী জানায়, নাইজেরিয়া সীমান্তবর্তী মেনাকা অঞ্চলের ইন্ডিলিমানে ওই সামরিক ফাঁড়িতে হামলায় ৫৩ জন সৈন্য নিহত এবং অপর তিনজন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
অপর একটি হামলায় মারা যান এক ফরাসি সৈনিক
এদিকে ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফরাসি কর্পোরাল রোনান পয়েন্টাও (২৪) মেনাকা শহরের কাছে পেতে রাখা বোমার বিষ্ফোরণে মারা যান। ঘটনার পরে ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদারে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাতে আরও সৈন্য পাঠানো হয়েছে।
আমেরিকার কপালে চিন্তার ভাঁজ
দুই মাথার মৃত্যুর পর আবু ইব্রাহিম অল হাশেমি অল কুরেশিকে আইএস প্রধানের স্থানে বসানো হয়। মনে করা হয়েছিল বাগদাদির মৃত্যুর ফলে ইসলামিক স্টেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। নতুন নেতা হিসেবে যিনিই আবির্ভূত হোন না কেন, তাঁকে দলটিকে যোদ্ধাবাহিনী হিসেবে ফিরিয়ে আনার কাজটি করতে হবে। এদিকে অল কুরেশির বিষয়ে আমেরিকা সব জানে বলে ইতিমধ্যেই জঙ্গি সংগঠনটিকে চাপে ফেলা শুরু করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দুই শীর্ষ নেতাকে মেরেও আইএসকে নির্মূল না করতে পারায় নিশ্চই চিন্তায় থাকবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।