চিনা চন্দ্রযানেই উদ্ঘাটিত চাঁদের বুকে কুঁড়েঘরের রহস্য
চিনা চন্দ্রযানেই উদ্ঘাটিত চাঁদের বুকে কুঁড়েঘরের রহস্য
চাঁদের মাটিতে নাকি চিনের চন্দ্রযান খুঁজে পেয়েছে একটি কুঁড়েঘর। তা নিয়ে এক্কেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল মহাকাশ বিজ্ঞান মহলে। তবে কি এটি চাঁদের বাড়ি। দূর থেকে দেখে এমনটাই মনে হচ্ছিল যে। সামনে পৌছেই সমস্ত আশা ভঙ্গ হয়েছে। চাঁদের বুকে পরিলক্ষিত কুঁড়েঘর সম্বন্ধে নয়া তথ্য পাওয়া গেল।
জানা গিয়েছে কুঁড়েঘর বলে ভ্রম হয়েছিল বিজ্ঞানীদের। ওসব ঘর টর কিস্যু নয়। ওটি চাঁদের উপর পড়ে থাকা লক্ষ লক্ষ পাথরের মতো আরও একটি পাথর মাত্র। এর চেয়ে বেশি কিচ্ছু না। চীনের চন্দ্রযান ইয়ুতু - ২ ওই বস্তুর একদম কাছে পৌঁছতেই কুঁড়েঘর রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। এটি দেখতে অনেকটা একটা কিউবের মতো। চিনের চন্দ্রযান ওই পাথরের ছবি ৮০ দূর থেকে তুলে পাঠিয়েছে। এতেই স্পষ্ট হয়েছে কুঁড়েঘর তত্ব।
চিনের ন্যাশনাল স্পেস এডমিনিষ্ট্রেশন জানায় , 'আমাদের চন্দ্রযান কুঁড়েঘরের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য ক্রমে সেদিকে এগিয়ে যায়। একদম সামনে আসার পর সেটি যে ছবি পাঠায় তা আমাদের সত্যিই হতাশ করেছে। কারণ এটি একটি সাধারণ পাথর মাত্র। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। তবে একে নিয়ে আমরা কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা অবশ্যই করব'
দিল্লিতে আরও কড়া বিধিনিষেধ, বন্ধ হল বেসরকারি অফিস
চিন এখন এই পাথরটিকে খরগোশ বলে অভিহিত করেছে, কারণ একে দেখতে অনেকটা লুকিয়ে থাকা খরগোশের মতোই মনে হয়েছে তাদের। তারা জানিয়েছে, এটাকে দেখে আমাদের মনে হচ্ছে যেন এটি কোনও গাজর খেয়ে দেয়ে পেট ভরতি করে শান্ত মনে বিশ্রাম নিচ্ছে।'
প্রসঙ্গত চাঁদের ভন কারমান ক্রেটারে বছর তিনেক আগে রোবটযান পাঠায় চিন। নাম ছিল ইয়ুতু - ২ । সেটির ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল ওই 'কুঁড়েঘর'। তখন ২৬০ ফুট দূরে ছিল ইয়ুতু-২। এটি চলে সৌরশক্তিতে। সূর্যের আলো না পেলে এটি চলতে পারে না। চাঁদের রাত দুই সপ্তাহ লম্বা হয়। চাঁদের খানাখন্দ যুক্ত পথ পেরিয়ে ধীরে ধীরে যাচ্ছিল রোবটযানটি। তাই কুঁড়েঘরের মতো দেখতে বস্তুটির একদম কাছে পৌঁছতে অনেকটাই সময় নেয়। প্রায় এক মাস পর পাওয়া ছবি বিজ্ঞানীদের হতাশ করেছে তা বলা যেতেই পারে।