দিল্লিতে আরও কড়া বিধিনিষেধ, বন্ধ হল বেসরকারি অফিস
দিল্লিতে আরও কড়া বিধিনিষেধ, বন্ধ হল বেসরকারি অফিস
দিল্লি লকডাউন ঘোষণা না করলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সেদিকেই চলে যাচ্ছে। সরকার শুধু সরাসরি ঘোষণা করছে না যে লকডাউন হবে। তার বদলে ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্র। যেমন এবার কেজরি সরকার জানিয়েছেন সেখানে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হবে বেসরকারি অফিস।
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশের রাজধানী দিল্লি সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। সেখানে বড় লাফ দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কী উপায়? দিল্লির প্রাইভেট অফিসগুলিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকরি করেন। তাদের অফিস থেকে আর কাজ না করে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার নির্দেশ দেওয়া হল। শুধু সামগ্রিকভাবে যে লকডাউন করা হবে বা হচ্ছে সেটা বলছে না রাজ্য সরকার। তবে ক্রমে যে দিল্লিতে কড়াকড়ি হচ্ছে বিধি নিষেধ তা স্পষ্ট। সেদিকেই 'স্লো বাট স্টেডি' হয়ে হাঁটছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।
হোটেল, রেস্তরাঁ, পানশালা এসব আমোদ প্রমোদ আগেই বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। এ বার সমস্ত বেসরকারি কার্যালয়ের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র ছাড় দেওয়া হয়েছে জরুরি ব্যাবস্থায়। এমনটাই জানিয়েছে 'দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি।
করোনা নিজের তালে বাড়লেও দিল্লিতে এতদিন সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলা ছিল।।৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে কাজ হচ্ছিল। সরকার এবার মনে করছে পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। এরপরে ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করলে বিপদ প্রচুর বেড়ে যাবে তাই পূর্ব নির্দেশিকায় এল বদল। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত বেসরকারি অফিস বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত অফিসের ১০০ শতাংশ কর্মীই যেন এবার বাড়ি থেকে কাজ করেন। বিশেষ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি অবশ্য এই নিয়মের বাইরেই রয়েছে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের রাজধানী দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হন। যদিও রবিবারের এই সংখ্যাটা ছিল ২২,৭৫১। সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছুটা কমেছে তা স্পষ্ট। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে সংক্রমণের হার ছিল ২৫ শতাংশ। মৃত্যু হয় ১৭ জনের। তবে মন্ত্রী আশার বাণী দিচ্ছেন। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ''আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছবে দিল্লি। এটাও হতে পারে এটাই সংক্রমণের চূড়া। সেখানেই হয়তো আমরা অবস্থান করছি। এরপর সংক্রমণ ক্রমশ নামবে'। নয়া নির্দেশিকা জারি করেই হয়তো সংক্রমণ চূড়াকে নির্দিষ্ট করতে চাইছে দিল্লি।