পাকিস্তানে ভাঙা হচ্ছে হিন্দু মন্দির, দাবি মানবাধিকার কর্মীর ফতিমার
পাকিস্তানে ভাঙা হচ্ছে হিন্দু মন্দির, দাবি মানবাধিকার কর্মীর ফতিমার
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন সিন্ধি–আমেরিকান মানবাধিকারের কর্মী ফতিমা গুল। তিনি মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ বিষয়ক কমিটির কাছে জানান যে, ধর্মীয় নিপীড়ন ও মহিলাদের ওপর হিংসাত্মক আচরণ পাকিস্তানে খুব সাধারণ ব্যাপার।
তিনি এ প্রসঙ্গে আরও জানান যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের ধর্মীয় এক দল সিন্ধু প্রদেশের মন্দির, বাড়ি, স্কুল ও ঘোটকি শহরে বসবাসকারী হিন্দুদের ওপর হামলা চালায়। তাদের দাবি ছিল যে সিন্ধু প্রদেশের এক হিন্দু অধ্যাপক অধার্মিক মন্তব্য করেছেন।
গুল বলেন, 'একসপ্তাহ ধরে চলা এই হামলাকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম চেপে দিয়েছে।’ তিনি জানান, প্রমাণের অভাবে ওই অধ্যাপককে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হয়। মানবাধিকারের ওই মহিলা কর্মী বলেন, 'ধর্মীয় নিপীড়ন পাকিস্তানে সবসময়ই আড়ালে থেকে গিয়েছে। সরকারের ওপর যাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেইসব ধর্মীয় চরমপন্থীরা হিন্দু, ক্রিস্টান, আহমেদিস, শিয়াস, বালোসদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের মধ্যে পাকিস্তানই একমাত্র দেশ, যারা দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইন নিয়ে এসেছে।’ ফতিমা গুল বলেন, 'মহিলাদের ওপর অপরাধ এবং ধর্ষণের ক্ষেত্রে গোটা পৃথিবীতে পাকিস্তান ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। মানবাধিকারের মতে, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনাও পাকিস্তানে খুব সাধারণ। শিশুদের ওপর যৌন হেনস্থায় পাকিস্তান অধিকৃত পাঞ্জাবের লাহোর থেকেই শুধুমাত্র ১৪১টি মামলা পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশের রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১০০০ জন হিন্দু মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। ৩৩ শতাংশ শিশু যৌন হেনস্থার সাক্ষী এই গুল জানান, হাজারাতে জঙ্গিরা যে গণহত্যা করেছিল, পাকিস্তানি সেনারা তাতে পূর্ণ সমর্থন করেছে। মানবাধিকার কর্মী জানান, পাকিস্তানের সাংবাদিক এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলির উচিত দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে খতিয়ে দেখা।
বাড়ছে তিক্ততা, ভারতের পাঠানো দিওয়ালি মিষ্টি ফেরত পাঠাল পাকিস্তান