পুতিন ও রাশিয়ার সমর্থনে কথা বলার জের, পদত্যাগ করতে হল জার্মানির নৌ সেনা প্রধানকে
পুতিন ও রাশিয়ার সমর্থনে কথা বলার জের, পদত্যাগ করতে হল জার্মানির নৌ সেনা প্রধানকে
পুতিন ও রাশিয়াকে সমর্থন করার জের। জার্মানির নৌবাহিনীর প্রধানকে ইস্তফা দিতে হল তাঁর পদ থেকে। ইউক্রেন দখল করতে পারে রাশিয়া। এমন সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। এই বিষয়টিকে সমর্থন করছে না জার্মানি। আর এমন এক বিষয় নিয়ে পুতিনের হয়ে কথা বলার ফল ভুগতে হল জার্মান নৌসেনা প্রধানকে। করতে হল পদত্যাগ।
কে আছিম সোয়েনবাচ ছিলেন জার্মান নৌসেনা প্রধান। তিনি বলেছেন রাশিয়া যে ইউক্রেন আক্রমন করতে চায় এই ধারনাটা তৈরি হয়েছে এটা সম্পূর্ণ বোকা বোকা ধরনের। পুতিন আরও বেশি সম্মানের যোগ্য। এই মন্তব্যটি তিনি করেন দিল্লির একটি বিশেষ বৈঠকে। এর ফল দ্রুত পরে কার্যস্থলের পদে। জার্মান প্রশাসন জানায় নৌসেনা প্রধানকে তার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। বাধ্য হয়ে সেটাই করতে হয় তাঁকে।
দিল্লির ওই বৈঠকের ভিডিও পৌঁছে যায় জার্মান সরকারের কাছে যেখানে তিনি বলছেন 'পুতিনকে আরও সম্মান দেওয়া দরকার আছে'। তিনি বারবার করে বলেন, 'তাঁকে সহজেই সম্মানটা দেওয়া যায়। আমার মনে হয় এই সম্মানটা ওনার প্রাপ্য'। এখানেই থেমে না থেকে তিনি বলেন, '২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ ছেড়ে চলে গেছে রাশিয়া এবং আর কখনোই ফিরবে না'। শনিবার সোয়েনবাচ চাপে পরে যান। তিনি স্পষ্ট জানান , তাঁর ওই মন্তব্যের সঙ্গে সরকারের চিন্তাভাবনার কোনও মিল নেই। তিনি বলতে বাধ্য হন তিনি যে পরামর্শ দিয়েছিলেন তা ভুল। টুইট করে তিনি বলেন, এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। যা হয়েছে তা ভুলবশত হয়েছে।
এরপরেই
তিনি
তাঁর
পদত্যাগ
পত্র
সরকারের
কাছে
দিয়ে
দেন।
বলেন,
'জার্মান
নৌবাহিনীর
কোনও
সমস্যা
এর
পরে
না
হয়
তার
জন্য
এই
পদ
থেকে
সরে
দাঁড়াচ্ছি'।
এর
আগে
ইউক্রেনের
বিদেশ
মন্ত্রী
জার্মানির
প্রতিনিধিকে
সোয়েনবাচের
মন্তব্যের
বিরোধিতা
করতে
বলেন
এবং
তাঁকে
বলানো
হয়
সোয়েনবাচের
এই
মন্তব্যকে
তারা
সমর্থন
করেন
না।
রাশিয়ার
সঙ্গে
উত্তেজনার
মাঝেই
আমেরিকা
ও
ব্রিটেন
সহ
বেশ
কয়েকটি
দেশ
ইউক্রেনে
অস্ত্র
সরবরাহ
করেছে।
তবে
বরাবরই
ইউক্রেনে
আক্রমণ
করার
অভিযোগ
নাকচ
করে
আসছে
রাশিয়া।
একইসঙ্গে
রাশিয়ার
নিরাপত্তার
বিষয়ে
উদ্বেগ
প্রকাশ
করে
ইউক্রেনকে
সামরিক
জোট
ন্যাটোতে
অন্তর্ভুক্ত
না
করতে
পশ্চিমা
দেশগুলোর
প্রতি
আহ্বান
জানিয়েছেন
রুশ
প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির
পুতিন।