হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে চিনের 'সাহায্যে' বাইডেনকে ফ্যাসাদে ফেলবেন ট্রাম্প!
নির্বাচনী প্রচারের সময় ক্রমাগত চিনকে আক্রমণ করে রক্ষণশীল ভোটারদের মন জয় করতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি জো বাইডেনকে চিনের 'বন্ধু' হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন একাধিক বার। এবার হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে সেই চিন ইস্যুর 'সাহায্য' নিয়েই জো বাইডেনকে চাপে ফেলতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন-চিন সম্পর্ক আরও তিক্ত করে দিতে চাইছেন ট্রাম্প
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের প্রেসিডেন্সির শেষ সময়ে চিনের উপর দুই গুণ প্রবল চাপ সৃষ্টি করে মার্কিন-চিন সম্পর্ক আরও তিক্ত করে দিতে চাইছেন ট্রাম্প। তাঁর এহেন কাজের মূল লক্ষ হল জো বাইডেনকে চাপে রাখা। কারণ যখন জো বাইডেন ক্ষমতায় বসবেন, তখন তাঁর জন্য চিন ইস্যু সামলানো আরও কঠিন হয়ে যাবে তখন।
চিনকে খুঁচিয়ে তুলছে ওয়াশিংটন
চিনকে খুঁচিয়ে ইতিমধ্যে জিনজিয়াং প্রদেশের বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠনের জঙ্গি তকমা সরিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। যার জেরে বৈজিং দারুণ চটেছে। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে চিনে অনুষ্ঠিত হতে চলা শীতকালীন অলিম্পিকে মার্কিন খেলোয়াড়রা যাতে না যান, সেই বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই সব ইস্যুই পরবর্তীতে জো বাইডেনকে সামলাতে হবে।
হার মেনে নিতে পারছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প
এদিকে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন জিতলেও এখনও তা মেনে নিতে পারছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। মনে করছেন গণতন্ত্রের জালিয়াতি হয়েছে। তাঁরই জেতার কথা। এমন আচরণে ট্রাম্পের অন্য সদস্যদের মতোই আমেরিকান ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও চাইছেন, হার মেনে নিক তাঁর স্বামী। তিনি চান, জো বাইডেনের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিক।
মেলানিয়া-ডোনাল্ড বিভেদ
মেলানিয়া ট্রাম্প চাইছেন, জো বাইডেনের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিক ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্রের খবর, মেলানিয়া নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন সত্যিটা মেনে নেওয়াই ট্রাম্পের পক্ষে শ্রেয়। গত মাসে স্বামীর দ্বিতীয়বারের নির্বাচন প্রচারেও অংশগ্রহণ করেছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প।
নেটওয়ার্কগুলি জো বাইডেনকে মিথ্যেভাবে জয়ী হিসেবে তুলে ধরেছে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাই এবং তাঁর উপদেষ্টা জারেদ কুশনার নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার কথা ট্রাম্পকে জানান বলে সূত্রের খবর। ট্রাম্প টুইট করে মন্তব্য করেছিলেন, বাইডেন জালিয়াতি করে ভোটে জিতেছে। বাইডেনের জয়, নির্বাচনের প্রকৃত ফলাফল থেকে অনেক দূরে। ট্রাম্পের দাবি, নেটওয়ার্কগুলি জো বাইডেনকে মিথ্যেভাবে জয়ী হিসেবে তুলে ধরেছে।
নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই ২০০-র ঘর অতিক্রম করেছিলেন
নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই ২০০-র ঘর অতিক্রম করেছিলেন। জমে উঠেছিল লড়াই। শেষ পর্যন্ত পেনসিলভানিয়ার রাজ্যের ভোটে ২৭০ অতিক্রম করে জো বাইডেনের দল। ৭৪ মিলিয়নেরও বেশি, ট্রাম্পের থেকে চার মিলিয়ন বেশি ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্টের মুকুট নিজের নামে করে নেন জো বাইডেন। এই সত্যতা মেনে নিক ট্রাম্প, চাইছেন কাছের মানুষরা।
পালাবদলের ইঙ্গিত রাজ্যপালের বক্তব্যে! পুলিশকে ধনকড়ের 'সাংবিধানিক পাঠ' ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে