লডডাউনে ত্রিপুরায় মিডডে মিল থেকে বঞ্চিত পড়ুয়ারা, জানা গেল আরটিআই-এ
লডডাউনে ত্রিপুরায় মিডডে মিল থেকে বঞ্চিত পড়ুয়ারা, জানা গেল আরটিআই-এ
দেশ ব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ। রাজ্যে রাজ্যে স্কুলগুলিতে দেওয়া মিডডে মিল ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। কিন্তু বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার লকডাউনে খাবার পৌঁছে দেওয়া কিংবা মিডডে মিলের চাল দেওয়া, কোনও কিছুরই ব্যবস্থা করেনি। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। একটি আরটিআই-এ এই তথ্য জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা
কেন্দ্রের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল রাজ্য সরকারগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ থাকলেও যেন শিশুরা খাবার পায়। কেন্দ্রের মিডডে মিলের গাইডলাইনে উল্লেখ করা রয়েছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে যথাক্রমে ১০০ ও ১৫০ গ্রাম করে খাদ্যশস্য দিতে হবে প্রতিদিন। এছাড়াই রান্নার খরচ হিসেবে ধরা হয়েছে ৪.৯৭ ও ৭.৪৫ টাকা।
অভিযোগ শিশুদের খাবার দেয়নি ত্রিপুরা সরকার
যদিও অভিযোগ উঠেছে, ত্রিপুরা সরকার শিশুদের মিডডে মিল প্রকল্পে খাবার সরবরাহ করেনি। যদিও লকডাউনের জেরে রান্না করা খাবার দেওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাদ্যশস্য ও রান্না করার খরচের অংশ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য স্কুল ইনস্পেক্টরদের বলেছিলেন ত্রিপুরার এলিমেন্টারি এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর।
শুধু খাদ্যশস্য তুলে দিতে ব্যর্থ হওয়াই নয়, রান্নার খরচও তুলে দিতে ত্রিপুরা সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ত্রিপুরায় মিডডে মিলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা
ত্রিপুরায় প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে আটটি জেলায় প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে নথিভুক্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা যথাক্রমে ২,৬৬,৩২৬ ও ১,৬৫,৯৫৩।
২০১৫-র মিডডে মিল স্কিম
২০১৫-র মিডডে মিল স্কিমের ৯ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও দিন স্কুল রান্না করা খাবার ছাত্রছাত্রীদের কাথে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়, তাহলে খাদ্যশস্য, রান্নার জিনিস, জ্বালানি তাদেরকে দিতে হবে। এছাড়াও রাজ্য সরকারকে খাদ্য সুরক্ষা ভাতা দিতে হবে।
আনলক ১: মদের হোমডেলিভারিই টার্গেট, সুইগি, জ্যোম্যাটোর মধ্য ই-পার্টনার চায় রাজ্য সরকার