করোনা সঙ্কট ও সীমান্ত সংঘাতের আবহে চিনকে বয়কটের রাস্তায় হাঁটতে পারে একাধিক দেশ, নেতৃত্বে ভারত
করোনা সঙ্কট ও সীমান্ত সংঘাতের আবহে চিনকে বয়কটের রাস্তায় হাঁটতে পারে একাধিক দেশ, নেতৃত্বে ভারত
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই ক্রমেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে ভারত ও চিনের মধ্যে। চিনের আগ্রাসী মনোভাবের কড়া জবাব দিতে ইতিমধ্যেই ৫৯টি চিনা অ্যাপকে বয়কটও করা হয়েছে সরকারের তরফে। পাশাপাশি চিনা পণ্য বয়কটের ডাকও দেওয়া হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। এবার শুধু ভারত না আন্তর্জাতিক মহলে চিনকে বয়কটের পথে হাঁটতে পারে একাধিক দেশ।
চিনকে কড়া ভাষায় জবাব দিতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরির ভাবনা
ইতিমধ্যেই সমুদ্রপথে চিনের আগ্রাসন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে একাধিক ‘আসিয়ান' দেশ। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য কায়েম নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে জাপান, ভিয়েতনাম সহ একাধিক দেশে। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় চিনকে আরও কড়া ভাষায় প্রত্যুত্তর দিতে সমমনষ্ক দেশ গুলিকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরির পরিকল্পনা করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য চিনকে একযোগে কাঠগড়ায় তুলতে পারে একাধিক দেশ
এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাব নিয়ে ইতিমধ্যেই চিনকে কাঠগড়ায় তুলছে আমেরিকা। আমেরিকার সাথে গলা মিলিয়েছে আরও একাধিক দেশ। পৃথিবীর একটা বড় অংশের মানুষই মনে করছে প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপের জন্য বেজিংই দায়ী। চিন বিরোধী এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর জন্য প্রাথমিক ভাবে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে বলে করা হচ্ছে। যে দেশ গুলি মনে করছে করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য মূলত চিনই দায়ী প্রাথমিক ভাবে তারা একযোগে একটি গোষ্ঠী তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি এই ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের জন্য ক্ষতিপূরণেরও দাবি করতে পারে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তদন্তের দাবি
একইসাথে এই জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে চিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও ডাক দিতে পারে তারা। এই তালিকায় থাকতে পারে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান, কানাডা। এদিকে গত মাসেই প্রায় ১০০ টি দেশ করোনা প্রাদুর্ভাবের আসল কারণ খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বারস্থ হয়। তদন্ত কমিটি বাসানোরও সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের জেরে বড়সড় আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বেশ কিছু দেশ। তারও একজোট হয়ে চিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে বলে মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইতালি, স্পেন, জার্মানি তাদের বৈদেশিক নীতি ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
সীমান্ত সংঘাত নিয়েও চিনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানে যেতে পারে কোন দেশ গুলি
অন্যদিকে যে সমস্ত দেশ গুলির সঙ্গে চিনের সীমান্ত সংঘাত রয়েছে তারও যৌথ ভাবে চিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে। এদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে জাপান, ভিয়েতনামের মতো দেশ গুলি। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং কম্বোডিয়ার মতো দেশ গুলিকেও একাধিক বার চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে জড়াতে দেখা গেছে। শুধু এই দেশ গুলিই না রাশিয়ার সঙ্গে অতীতে একাধিকবার সীমান্ত সংঘাতে জড়াতে দেখা গেছে চিনকে। যদিও তাদের মদ্যে পরবর্তীকালে সম্পর্কের অনেকটাই উন্নতি হয়। এখন এই কঠিন সময়ে কূটনৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ভারত কতটা চিন বিরোধী আবহ তৈরি করতে পারে সাটই দেখার।
নিষিদ্ধ ৫৯টি চিনা অ্যাপের কেমন ছিল ভারতে জনপ্রিয়তা ও ব্যবসা, দেখে নিন এক ঝলকে