যে সকল এলাকায় ভারতকে আক্রমণ করতে পারে চিন! একনজরে দেখে নিন এলএসি-র সেই অঞ্চলগুলি
সোমবার ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে সংঘর্ষ শুরু করে চিনের পিএলএ। এই সংঘর্ষে ভারতের তরফে ২০ জন সৈনিক শহিদ হন। অপর দিকে চিনের তরফেও অন্তত ৪৩ জনের হতাহতের খবর মিলছে। এই পরিস্থিতির জন্য মূলত চিনের অনুপ্রবেশই দায়ি। তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগে বারংবার এই কাজ করেছে চিন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতের উপর আক্রমণ করলে কোন এলাকাগুলিকে বেছে নিতে পারে চিন।
চিনের মূল আপত্তির কারণ
গত বছর তৈরি করা ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড তৈরি করেছিল ভারত। তা নিয়েই চিনের মূল আপত্তি৷ চিনের দাবি ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক৷ যা মেনে নিতে নারাজ ভারত৷ ভারতের লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে চিন সীমান্ত বরাবর ৬১টি রাস্তা তৈরি করা, যা হলে চিন আর দাদাগিরি করতে পারবে না। গালওয়ান উপত্যকা দখল করলে এই রাস্তা তৈরি যেমন আটকানো যাবে, তেমনই পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে যাবে।
গালওয়ান উপত্যকায় প্রায় ১০০ তাঁবু গেড়ে বসে চিন
এরই মধ্যে সেনা তরফে জানানো হয় যে বিতর্কিত গালওয়ান উপত্যকায় প্রায় ১০০ তাঁবু গেড়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এ ছাড়া ডেমচকের কাছাকাছি অঞ্চলেও সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে বেজিং। চিনের সামরিক তৎপরতার জেরে সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লিও। এই পরিস্থিতিতে চিনকে আরও চাপে রাখতে ভারতও সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা তৈরির কাজও জারি রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
যেসকল অঞ্চলে হামলা চালাতে পারে চিন
পশ্চিম থেকে পূর্ব দেখতে গেলে চিন ভারতকে আক্রমণ করতে পারে গালওয়ান উপত্যকা, প্যাঙগং সো লেক, সিন্ধু নদীর উৎপত্তিস্থল, উত্তরাখণ্ড (কেদারনাথের উত্তর অংশে), সিকিম-ভুটান সংযোগস্থল, তাওয়াং উপত্যকা, সিয়াং উপত্যকা, ওয়ালঙ। শেষের তিনটি অঞ্চল অরুণাচলপ্রদেশে।
ভারত-চিন বিবাদ
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারকে কেন্দ্র করে একাধিক জটিল এবং বিতর্কিত বিষয়ের জেরে ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে। চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় তৈরি হওয়া সমস্যা সেই দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।