ফ্রিবিজ বিতর্ক তুঙ্গে, প্রতিশ্রুতির আগে রাজনৈতিকদলগুলো আয় ব্যয়ের হিসেব দেওয়ার পরামর্শ নির্বাচন কমিশনের!
ফ্রিবিজ নিয়ে নতুন প্রস্তাব পেশের পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের
ফ্রিবিজ বা বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর বিরোধ চরমে উঠেছে। মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন একটি পরামর্শ পত্র পেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলি বিধানসভা বা জাতীয় নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির খরচ বিস্তারিত ভাবে বিবরণ দিতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ভোটার অবিহিত করতে হবে। এরফলে কেউ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নির্বাচনের আগে দিতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব
ফ্রিবিজ সম্পর্কিত কোনও আইন তৈরি করা বর্তমানে সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানিতে আদালত নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এই ধরনের প্রতিশ্রুতি ও অর্থায়ন পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চায়। যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি থেকে বিরত রাখা সম্ভব নয়। তবে সেই প্রতিশ্রুতির আদৌ বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব কি না, সেই বিষয়ে ভোটারদের বিস্তারিতভাবে জানানো উচিত।
আয়-ব্যয়ের হিসেব দেওয়ার পরামর্শ
নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে, প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং কেন্দ্রীয় অর্থ সচিবকে যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তখন কর এবং ব্যয়ের বিশদ বিবরণ সরবরাহ করতে হবে। এরফলে কোনও রাজনৈতিক দল প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে বুঝতে পারবেন তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব কি না। অন্যদিকে, ভোটাররাো বুঝতে পারবেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তা আদৌ বাস্তব সম্মত কি না।
নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য
ফ্রিবিজ বা বিনামূল্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফ্রিবিজের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেন, রাজ্যগুলো যে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তাতে অর্থনীতির ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। রাজ্যগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়বে।
বিরোধীদের দাবি
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া মানুষ, দরিদ্র মানুষদের জন্য জনকল্যান মূলক পরিষেবার জন্য ফ্রিবিজের প্রয়োজন রয়েছে।আপ মোদীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকেও মোদীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ
যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনও রায় দিতে অস্বীকার করেছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, এই বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানা প্রয়োজন। ফ্রিবিজ সম্পর্কে কেন্দ্রকে সর্বদলীয় রাজনতিক বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছিল।