করোনার আড়ালে ঘনাচ্ছে আরও এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, প্রবল স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ভারত
করোনার আড়ালে ঘনাচ্ছে আরও এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, প্রবল স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ভারত
করোনা মহামারীেত বিপর্যস্ত গোটা দেশ। হাসপাতালে যেতে ভয়পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যার জেরে ভয়ঙ্কর এক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশে। বাড়িতে প্রসব বাড়ছে। যার জেরে শিশুমৃত্যু থেকে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে শুরু করবে। ক্যান্সার রোগীরা চিকিৎসা করাচ্ছেন না। তাঁদের অবস্থার অবনতি হবে। সব দিক দিয়ে ভয়ঙ্কর এক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে গোটা দেশে।
বাড়বে সদ্যোজাতের মৃত্যু
করোনা সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভিড় কমে গিয়েছে। মানুষ হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন। ফেল গ্রামাঞ্চলে নতুন করে বাড়িতেই প্রসবের প্রবণতা বাড়ছে। যার ফলে নতুন করে শিশুদের মৃত্যু দেশে বাড়বে। একই সঙ্গে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা বাড়বে দেশে। শিশুদের স্বাস্থ্য সংকট তৈরি হবে।
ভ্যাকসিন বন্ধ
করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিশুদের টীকাকরণ কর্মসূচি। এমনকী পোলিও খাওয়ানোর কর্মসূচিও বন্ধ রয়েছে। বিসিজি টীকা করণের কারণে শিশুদের শরীরে যক্ষা প্রতিরোধক শক্তি গড়ে ওঠে। কিন্তু গত ৫ মাস ধরে টীকাকরণ বন্ধ থাকায় অসংখ্য সদ্যোজাত বঞ্চিত হয়েছে এই প্রাথমিক পরিষেবা থেকে। এতে তাঁদের জীবনে সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টিবি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি
করোনার আড়ালে গোটা বিশ্বে যক্ষা রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। তার থেকে বাদ যায়নি ভারতও। যক্ষায় প্রতিবছর ভারতে ৪২১,০০০ জন রোগী মারা যান। সেই সংখ্যা করোনার কারণে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন গবেষকরা। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে যক্ষা রোগীর সংখ্যা ১.৪ মিলিয়ন হয়ে যাবে। কারণ করোনার কারণে যক্ষা রোগের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে গোটা দেশে।
ক্যানসার বাড়ছে
ক্যান্সারে আক্রান্তদের চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। অনেকেই ক্যান্সার পরীক্ষা করাতে পারছেন না করোনা সংক্রমণের কারণে। একাধিক ক্যান্সার হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। যার কারণে ক্যান্সার রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে আরও ক্যানসারে মৃত্যু বাড়বে।