নেপাল-চিন আঁতাতের প্রত্যক্ষ প্রমাণ! লাদাখের পর এবার লিপুলেখে নিঃশ্বাস ফেলছে লালফৌজ
লাদাখের বদলে এবার উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরো সীমান্তের কাছে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে চিন। যদিও উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় চিন সীমান্ত বরাবর সতর্ক প্রহরা দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এছাড়া উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির প্রধানকে স্যাটেলাইট ফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে লিপুলেখে এভাবে চিনের আস্ফালন বেশ ইঙ্গিবহ বলে মনে করা হচ্ছে।
কালাপানি-লিপুলেখ নিয়ে বিতর্ক
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্গত কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরা এলাকাকে নিজেদের সীমানার অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল নেপাল। এরপর সেই মানচিত্রে সিলমোহর দেয় নেপালের পার্লামেন্ট। ভারতের তরফে এই মানচিত্রকে খারিজ করে বলা হয়েছে, এটি একটি 'ইউনিল্যাটরাল অ্যাক্ট৷' যার কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই৷
বিবাদের সূত্রপাত এক রাস্তা থেকে
ভারতের তরফে তিব্বত সীমান্তে লিপুলেখ ও উত্তরাখণ্ডের সংযোগকারী ৮০ কিলোমিটার রাস্তা উদ্বোধন করেছিলেন রাজনাথ সিং৷ তারপরই মে মাসে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করা হয় নেপালের তরফে৷ আর এরপর পিথোগড় জেলা বরাবর নেপাল সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল কাঠমান্ডু, যাতে উত্তেজনা বাড়ে। তবে এখন ফের বিতর্কিত এলাকা বরাবর চিনা সেনার বাহিনী মোতায়ের খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের চিন সীমন্তেও চড়ছে উত্তেজনার পারদ
উত্তরাখণ্ডের ৩৪৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে চিন সীমান্ত। এর আগে বহুবার এই অঞ্চলে চিনা সেনার চোখ রাঙানি দেখা গেছে। সেজন্য ভারতীয় সেনা এবং ইন্দো-তিবেতান বর্ডার পুলিশ একযোগে ক্রমাগত পাহারা দিচ্ছে। চামোলি জেলার বরাহতি, মানা পাস, নীতি এবং মালারিতে ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে আইটিবিপি।
লাদাখে চিনা টালবাহানা
এদিকে লাদাখ সীমান্ত বরাবর চিনা সেনা প্রত্যাহার শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা নিয়ে বেশ টালবাহানা দেখা গিয়েছে। এরপরই লাদাখেও বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, বুধবারই লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনা কনভয়ের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই আবহে দু' দেশের ফের সেনা ও কুটনৈতিক পর্যায়ে তিনঘণ্টার বৈঠক বসবে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, তাতে সুষ্ঠু সমাধান সূত্র কতটা বের হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্যাংগংয়ে চিনের নজরদারি
এদিকে প্যাংগং সো হ্রদে নজরদারি চালাচ্ছে লালফৌজ। ফিঙ্গার পয়েন্ট ৫ এবং ৬য়ে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে তারা। এমনকী অস্ত্রও মজুত করছে উপগ্রহ চিত্রে সেছবি ধরা পড়ার পরেও স্বীকার করেনি বেজিং। বিপদ আঁচ করেই আগে থেকে নিজেদের প্রস্তুত করে রাখছে ভারতীয় সেনা। লাদাখ সীমান্তে পাকাপাকি ভাবে সেনা বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা।
লাদাখে ভারতের সেনা বৃদ্ধি
চিনের গতিবিধি সুবিধের নয় আঁচ করেই লাদাখ সীমান্তে দুই দফায় সেনা বাড়িয়েছে ভারত। প্রথম দফায় ৩৫,০০০ সেনা বাড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ৪৫,০০০ সেনা বাড়ানো হয়েছে। কোনও রকম আর খুঁত রাখতে চায়না ভারতীয় বাহিনী। ১৫ জুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেকারণেই আগে থেকে প্রস্তুতি সেরে রাখছে ভারতীয় সেনা।