এক কিশোরের চিঠিতে তোলপাড় সরকারি মহল! তদন্তে কড়া নির্দেশ মোদীর অফিসের
১৫ বছরের কিশোরের চিঠির জেরে তোলপাড় সরকারি মহল। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ১৫ বছরের ওই কিশোর বলেছিল সে তার জীবন শেষ করে দিতে চায়।
১৫ বছরের কিশোরের চিঠির জেরে তোলপাড় সরকারি মহল। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ১৫ বছরের ওই কিশোর বলেছিল সে তার জীবন শেষ করে দিতে চায়। কারণ হিসেবে বাবা মায়ের মধ্যে পড়ে তার জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছিল বলেও উল্লেথ করেছিল। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বিহারের ভাগলপুরের জেলা আধিকারিকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস।
বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা হলেও, বর্তমানে ওই কিশোর থাকে ঝাড়খণ্ডে। সেখানে তাঁর বাবা গ্রাম উন্নয়ন দফতরের পদস্থ আধিকারিক। মা চাকরি করেন ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে। পোস্টিং পাটনায়।
ভাগলপুরের জেলা আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পিএমও থেকে চিঠি পাওয়ার পরে বিষয়টি সামনে এসেছে।
ওই কিশোর রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখেছিল দুমাস আগে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সেই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চিঠিতে ওই কিশোর লিখেছে, তার বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়ার কথা। যা তার পড়াশোনার ওপর পড়ছে বলে অভিযোগ করেছিল ওই কিশোর। চিঠিতে ওই কিশোর লিখেছে তার বাবা ক্যানসারের রোগী। কিন্তু তার মা সমাজবিরোধীদের দিয়ে বাবাকে ভয় দেখাচ্ছে। উল্লেখ করেছিল চিঠিতে। এইসবের মধ্যে পড়ে সে নিজেকেই শেষ করে দিতে চায় বলে জানিয়েছিল।
ভাগলপুরের জেলা আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
ওই কিশোর জানিয়েছে তারা ছেলেবেলা কেটেছে ভাগরপুরে। ঠাকুরদাদা এনটিপিসির কাহেলগাঁও-এ চাকরি করতেন। সেখান থেকেই অবসর নেন। এরপর তাকে দেওঘর চলে যেতে হয়। সেখানে সে তার বাবার সঙ্গে থাকে। সেখানেই বর্তমান পড়াশোনা।
ঠাকুরদা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ওই কিশোরের মা-কেই দায়ী করেছেন। তাদের দুজন দুজের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।